
নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা করা চলবে না—এই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ থেকে তিনি এই বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, তরুণদের এই সুনামি বার্তা দিচ্ছে—গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “সংস্কারের কথা বলে বা বিচারের অজুহাতে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানো যাবে না। জনগণই ভোটের মাধ্যমে আগামী সরকার নির্ধারণ করবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করবে।” তিনি দাবি করেন, সংস্কারের ধারণা প্রথম দিয়েছে বিএনপিই। খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ ও তারেক রহমানের ঘোষিত ‘২৭ দফা’—এগুলোই রাজনৈতিক সংস্কারের ভিত্তি।
জাতীয় ঐকমত্য নিয়ে গঠিত সংলাপে কিছু বিষয়ে মতৈক্য না হলেও, তার চূড়ান্ত ফয়সালা জনগণই ব্যালটের মাধ্যমে করবে বলে মন্তব্য করেন খসরু। তিনি আরও বলেন, “বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেটা বিএনপি করবে, কারণ আমরা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ করেছি, সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছি।”
আজকের এই কর্মসূচি ছিল মে মাসজুড়ে তারুণ্যকেন্দ্রিক প্রচারণার চূড়ান্ত পর্ব। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে জড়ো হন নয়াপল্টনে। সমাবেশ মঞ্চ তৈরির কারণে আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল এবং এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, তিনি দেশের তরুণদের উদ্দেশে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন।
এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদসহ শীর্ষ নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপি তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার যে কৌশল নিয়েছে, তা স্পষ্টতই আগামী দিনের নির্বাচনী মাঠের প্রস্তুতির অংশ বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।