
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রস্তাব করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে দলটি বলেছে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে এবং এর জন্য সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে নির্বাচনই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। ২৫ মে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে প্রস্তাবটি ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে। জুনের প্রথম সপ্তাহে কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপে সরাসরি এই প্রস্তাব হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে দেওয়ার তিন সপ্তাহ আগে ১১ সদস্যের সর্বদলীয় কমিটি গঠন হবে। ৫ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়া দলগুলো এতে প্রতিনিধিত্ব পাবে। সরকারি, প্রধান বিরোধী ও অন্যান্য দলের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ ৯ জন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করা হবে প্রধান উপদেষ্টার জন্য। পরে ৮-৩ ভোটে একজনকে চূড়ান্ত করবে কমিটি। যদি ঐকমত্য না হয়, তবে উচ্চকক্ষ ‘র্যাঙ্কড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতিতে উপদেষ্টা নির্বাচন করবে।
এনসিপি প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, দুর্নীতিতে দণ্ডিত, নৈতিক স্খলন রয়েছে, কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন কেউ প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্য হবেন না। সরকারের প্রতি অনুগত কাউকে প্রধান উপদেষ্টা বানানোর পথ যেন না থাকে, সেটি নিশ্চিত করাই এনসিপির মূল লক্ষ্য।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, অতীতে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচিত হয়ে অনির্বাচিতভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে। এই প্রবণতা বন্ধে নিরবচ্ছিন্ন ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতির বিকল্প নেই। এনসিপির এই প্রস্তাব তেমন একটি সম্ভাব্য পথ তৈরি করে।