ঢাকা   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদে আনন্দের মাঝে ভুলে যাবেন না অভিভাবকদের—জেনে নিন বয়স্কদের যত্নের সঠিক উপায়

ঈদে আনন্দের মাঝে ভুলে যাবেন না অভিভাবকদের—জেনে নিন বয়স্কদের যত্নের সঠিক উপায়

ঈদ মানেই পরিবারে আনন্দ, উৎসব আর মিলনের উষ্ণ মুহূর্ত। বছরের পর বছর সন্তানদের অপেক্ষায় থাকা বয়স্ক বাবা-মা বা অভিভাবকদের জন্য ঈদ শুধুই উৎসব নয়, বরং প্রিয়জনদের ফিরে পাওয়ার এক অনন্য উপলক্ষ। তবে এই আনন্দঘন সময়েই তাদের স্বাস্থ্য ও শারীরিক সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষা করা উচিত নয়।

বয়স্কদের অনেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ বা কিডনির জটিলতায় ভোগেন। ঈদের খাবারের আয়োজনে তাই ক্যালরি ও চর্বিযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে সবজি, মাছ এবং হালকা তেল-মসলার পদ রাখার চেষ্টা করুন। চর্বি ছাড়া মাঝারি আকারের দু’টুকরা মাংস একবেলায় খেতে পারেন, তবে যাঁদের দাঁতের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য কাবাব বা নরম ছেঁচা মাংস উপযুক্ত হবে।

ঈদের ছুটিতে ওষুধ, ইনসুলিন, ইনহেলার কিংবা অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম যেন ঘরে পর্যাপ্ত থাকে, তা আগেই নিশ্চিত করুন। পাশাপাশি মাঝে মাঝে রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা মাপা জরুরি, কারণ উৎসবের সময় একটু অনিয়মে এগুলো হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।

বয়স্কদের দৈনন্দিন অভ্যাস—যেমন সঠিক সময়ে খাওয়া, ঘুমানো, ওষুধ সেবন বা বিশ্রাম—ঈদের ব্যস্ততার মাঝে ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শৃঙ্খলা বজায় রাখা তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। উৎসবের কাজের চাপ বা রাত জাগার কারণে তাঁদের খাবার বা ওষুধের সময় যেন বাদ না যায়।

উৎসবের সময় হালকা উপসর্গ যেমন পেটে গ্যাস, বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এসবের প্রতিকার ঘরে মজুত রাখুন। তবে বুকে ব্যথা, ঘাম, বারবার ডায়রিয়া বা বমির মতো গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যান—কারণ ঈদের ছুটিতেও হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—বয়স্কদের মানসিক যত্ন। অতিথি, আয়োজন কিংবা ভ্রমণের ভিড়ে তাঁরা অবহেলিত না হন। সময় দিন, গল্প করুন, তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করুন উৎসবের প্রতিটি আনন্দে। আপনার সামান্য যত্নই তাঁদের ঈদটাকে করে তুলবে পরিপূর্ণ।