কোরবানির মৌসুমে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার ঢাকায় সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১,৩৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ১,১৫০ টাকা। আকার বড় হলে দামও বাড়বে। তবে অনেকেই চামড়া সংরক্ষণে অবহেলা করায় ন্যায্য দাম পান না। তাই কীভাবে চামড়া প্রস্তুত করলে ভালো দাম পাওয়া যায়, তা জানা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চামড়া ছাড়ানোর সময়ই সতর্ক হতে হবে। অসাবধানতায় চামড়া কাটাকাটি হলে তার মান কমে যায়। ছাড়ানোর ৮–১০ ঘণ্টার মধ্যে মোটা দানার লবণ মাখাতে হবে। আগে চামড়ায় লেগে থাকা মাংস পরিষ্কার করে ছায়াযুক্ত স্থানে লবণ লাগাতে হবে। বৃষ্টি বা অতিরিক্ত রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।
বড় চামড়ায় (৩৫–৫০ বর্গফুট) ৮–৯ কেজি, মাঝারি চামড়ায় (২০–২৫ বর্গফুট) ৫–৬ কেজি এবং ছোট চামড়ায় (১৫–১৬ বর্গফুট) ৩–৪ কেজি লবণ দরকার। লবণের বর্তমান দাম কেজিতে প্রায় ১৮ টাকা। হিসাব অনুযায়ী, একেকটি বড় চামড়ায় লবণের খরচ পড়বে ১৪৫–১৬০ টাকা। এতে নির্ধারিত দামে বিক্রি সম্ভব হবে।
যাঁরা লবণ মাখাতে পারবেন না, তাঁদের দ্রুত কাঁচা চামড়া নিকটস্থ আড়তে বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর পোস্তা, সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় চামড়া কেনা হয়। তবে এ ক্ষেত্রেও চামড়া ঠিকভাবে ছাড়াতে হবে, নইলে দাম কমে যাবে।
গত বছর সংরক্ষণের অভাবে প্রায় ৫ লাখ চামড়া নষ্ট হয়েছিল, যার বড় অংশই ছিল খাসি-বকরির। চামড়া শুধু স্থানীয় কেনাবেচার বিষয় নয়, এটি দেশের অন্যতম রপ্তানি খাত। তাই এর সঠিক সংরক্ষণ ও মূল্য নিশ্চিত করা জাতীয় গুরুত্ব বহন করে।
