ঢাকা   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদে ছুটি, ক্যাশ নেই বুথে! নগদ টানাপোড়েনে ভোগান্তি চরমে

ঈদে ছুটি, ক্যাশ নেই বুথে! নগদ টানাপোড়েনে ভোগান্তি চরমে

ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকায় নগদ টাকার একমাত্র ভরসা এখন এটিএম বুথ। তবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বুথে গিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে ভোগান্তির মুখে পড়ছেন গ্রাহকেরা। কোথাও টাকা নেই, কোথাও প্রযুক্তিগত সমস্যা, আবার কোথাও তোলা যাচ্ছে সীমিত পরিমাণ টাকা। এতে ঈদের ব্যস্ত সময়ে নগদ প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, মধুবাগ, আদাবর ও মগবাজার এলাকার বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি বুথ বন্ধ কিংবা টাকাশূন্য। আবার যেসব বুথ খোলা রয়েছে, সেখানেও অন্য ব্যাংকের কার্ড দিয়ে টাকা তোলায় রয়েছে সীমা। অনেক জায়গায় ৫ হাজার টাকার বেশি তোলা যাচ্ছে না।

বেসরকারি ব্যাংকের একজন গ্রাহক মাহমুদুল হাসান জানান, গতকাল দুপুর থেকে তিনি চারটি বুথে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে শেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর অভিযোগ, “ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি নগদের প্রয়োজন হয়। অথচ পাঁচ-ছয়টি বুথ ঘুরেও টাকা তুলতে পারলাম না—এটা চরম ভোগান্তি।”

মিরপুরে যমুনা ব্যাংকের বুথে টাকা ছিল না, আর সাউথইস্ট ব্যাংকের বুথে অন্য ব্যাংকের কার্ডে লেনদেন বন্ধ ছিল। আদাবর এলাকায় আজ শুক্রবার সকালে পাঁচটি বুথ ঘুরে মাত্র তিনটিতে টাকা পাওয়া গেছে। তবে সেই বুথগুলোতেও সকালে টাকা রিফিল করার পর ৫ হাজার টাকার সীমা আরোপ করা ছিল।

ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের আদাবরের একটি বুথে দুপুরেও টাকা পাওয়া যায়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, “গতকাল বিকেল থেকে বুথে টাকা নেই। আজ কিছু কিছু বুথে টাকা দেয়া হচ্ছে। আশা করছি বিকেলের মধ্যে টাকা পাওয়া যাবে।”

ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, একটি বুথে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা রাখা গেলেও ছুটির এই সময়ে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। নিকটবর্তী শাখা থেকে সাধারণত বুথে টাকা সরবরাহ করা হলেও দূরের বুথগুলো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে চালানো হয়। ফলে সেখানে লেনদেন আরও জটিল হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১২,৯৪৬টি এটিএম বুথ ও ৭,০১২টি ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন (সিআরএম) রয়েছে। ছুটির সময় এগুলোর কার্যকারিতা বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ঈদের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বুথগুলো সচল না থাকায় গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।