
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, যার মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত হলো হাঁটুব্যথা। ৬০ বছরের পর প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ এ সমস্যায় ভোগেন। হাঁটু আমাদের শরীরের ভার বহন করে এবং হাঁটার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই ব্যথা শুরু হলে তা দৈনন্দিন জীবনে বড় প্রভাব ফেলে।
বয়স্কদের হাঁটুব্যথার মূল কারণ হলো অস্টিওআর্থ্রাইটিস। বয়সের সঙ্গে হাড় ক্ষয় এবং জয়েন্টের তরলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় হাঁটুর গঠন বদলে গিয়ে ব্যথা বাড়ে। অতিরিক্ত ওজন বা অন্য ধরনের বাত যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গাউট ইত্যাদিও কারণ হতে পারে। এছাড়া আঘাত, অতিরিক্ত সিঁড়ি ভাঙা, দৌড়ানো বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকাও ব্যথা বাড়াতে পারে। এমনকি ক্যানসারজনিত ব্যথাও উপেক্ষা করা যাবে না।
সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হলে (৬ সপ্তাহের বেশি) তা অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে পারে, যার চিকিৎসা শুধু ওষুধে নয়, বরং জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের মাধ্যমেও হয়। হাঁটুব্যথা কমাতে সবচেয়ে কার্যকর একটি অভ্যাস হলো—নিয়মিত হাঁটা। প্রতিদিন অন্তত ৬ হাজার কদম হাঁটুন, তবে সমতল স্থানে। ট্রেডমিলে হাঁটাও এড়িয়ে চলা ভালো। পাশাপাশি ভারসাম্য রক্ষাকারী ব্যায়াম, ওজন নিয়ন্ত্রণ, আইস প্যাক ব্যবহার এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
তবে যদি হাঁটুব্যথার সঙ্গে জ্বর আসে, হাঁটু ফুলে লাল হয়ে যায় বা ওজন নেওয়া না-সাধ্য হয়ে পড়ে—তবে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। হাঁটুব্যথাকে উপেক্ষা না করে নিয়ম মেনে চললে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।