
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও সম্পূর্ণ বাস্তবায়নযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এ বাজেট একটি ধারাবাহিক ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকেরা।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, “বাজেট একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেকে এটিকে গতানুগতিক বললেও আমরা লক্ষ্য করছি—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।” তিনি আরও জানান, চলমান প্রকল্পগুলোই বাজেটের মূল ভিত্তি। নতুন ২০-৩০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হলেও অপ্রয়োজনীয়গুলো বাদ দেওয়া হচ্ছে, তবে মাঝপথে কোনো প্রকল্প বাতিল হবে না বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
মেগাপ্রকল্প বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা নতুন কোনো বড় মেগাপ্রকল্প নিতে চাই না। তবে খুলনা-মোংলা রেললাইন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন এবং শহরের জঞ্জাল ব্যবস্থাপনার মতো কিছু প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, বাজেট বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট এবং পরিকল্পনামাফিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক পোর্টফলিও তৈরি করা হচ্ছে।
বাজেটের স্বচ্ছতা ও ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয়ই এবারকার বাজেটের অন্যতম ইতিবাচক দিক হিসেবে উঠে আসে উপদেষ্টার বক্তব্যে।