ঢাকা   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদযাত্রায় চাপ বাড়লেও বড় যানজট নেই, ভোগান্তি কিছু এলাকায়

জাতীয়

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০২, ৪ জুন ২০২৫

আপডেট: ২৩:১১, ৪ জুন ২০২৫

ঈদযাত্রায় চাপ বাড়লেও বড় যানজট নেই, ভোগান্তি কিছু এলাকায়

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আজ বুধবার ছিল অফিসপাড়ার শেষ কর্মদিবস। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানী ছাড়ছেন লাখো মানুষ। ফলে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কোথাও কোথাও ধীরগতিতে গাড়ি চললেও এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের যানজট দেখা যায়নি।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ ভোরে কিছু সময় যানজট তৈরি হলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত তৎপরতায় বেলা একটার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সন্ধ্যার পর কুমিল্লার দাউদকান্দির হাসানপুর এলাকায় একটি গাড়ি খাদ থেকে তুলতে গিয়ে আবার যানজট শুরু হয়, যা রাত ৯টার দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও ছিল চাপ। গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় একটি চলন্ত মিনিট্রাকে আগুন লাগার ঘটনায় বিকেল চারটার দিকে সড়কে বড় ধরনের যানজট হয়। স্থানীয়রা জানান, রংপুর থেকে ঢাকায় গরু এনে ফেরার পথে ভূগর্ভস্থ গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায় ট্রাকের ইঞ্জিনে। তবে সবাই নিরাপদে নেমে যেতে পারায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

যমুনা সেতুতে আজ যানবাহনের চাপ ছিল দ্বিগুণের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজারের বেশি যানবাহন সেতু পার হয়েছে, যেখানে সাধারণত সংখ্যা থাকে ১৬-১৮ হাজারের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, যানজট না থাকলেও চাপ অনেক বেশি, তাই ৬ শতাধিক পুলিশ সদস্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন।

ঢাকার অদূরে সাভার ও ধামরাইয়ে মহাসড়কে ও বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। সাভারের তিনটি জায়গায় ধীরগতির যান চলাচল লক্ষ্য করা গেছে। এসব এলাকায় শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে আছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নিসচা সদস্যরা।

এদিকে, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও বাড়ছে দক্ষিণগামী যাত্রীদের চাপ। গত রাত ১২টা থেকে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩৯টি লঞ্চ ছাড়ে, এবং ৪৭টি লঞ্চ ভিড়ে টার্মিনালে। তবে এখনো ভিড় কিছুটা নিয়ন্ত্রিত। লঞ্চ মালিকদের ধারণা, বৃহস্পতিবার পোশাক কারখানার ছুটি শুরু হলে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে।

সব মিলিয়ে ঈদযাত্রায় যানবাহনের চাপ বাড়লেও এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। তবে দু-একটি ঘটনায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। আগামীকাল থেকে চাপ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রস্তুত আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।