
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৩২৮টি পশুর হাট বসলেও জমজমাট হয়নি বেচাকেনা। গরুর সরবরাহ প্রচুর থাকলেও হাটগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি কম, বিশেষ করে বড় গরুর প্রতি আগ্রহ একেবারেই নেই—যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা।
বরিশালে কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৩২ হাজার পশুর, যা স্থানীয়ভাবে জোগান দেওয়ার সক্ষমতা আছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, পশুর প্রাচুর্যের বিপরীতে বিক্রি একপ্রকার বন্ধ।
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই হাটে ৪০টি গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী বশির হাওলাদার বলেন, গতকাল হাট শুরু হলেও আজ (বুধবার) পর্যন্ত কোনো গরু বিক্রি হয়নি। দাম দেড় লাখ থেকে তিন লাখ টাকা হলেও ক্রেতারা খুঁজছেন কম দামে ছোট বা মাঝারি গরু। একই চিত্র বরগুনার আমতলী, গাজীপুর ও কাঁঠালিয়া হাটেও।
বাজারে ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বেশি, কিন্তু মান অনুযায়ী যৌক্তিক নয়। অনেকেই আশা করছেন, শেষ সময়ের আগে দাম কমবে। তাই এখনই কিনতে আগ্রহী নন।
খামারিরা বলছেন, বড় গরুর প্রতি অনাগ্রহের কারণে লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে। কারও গরু একেবারেই বিক্রি হয়নি, কেউবা কম দামে এক-দুটি গরু বেচে হতাশ। গলাচিপার খামারি হারুন মিয়া বলেন, “এক মাস আগে পাঁচটি গরু কিনেছি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায়, এখনো একটি গরুও বিক্রি হয়নি।”
তবে অনেক পাইকার ও ব্যবসায়ী বলছেন, শহরের ক্রেতারা সাধারণত শেষ মুহূর্তে গরু কিনতে হাটে আসেন। ফলে বৃহস্পতি ও শুক্রবার হাট জমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তাঁরা।
সব মিলিয়ে বরিশালের কোরবানির হাটে এখন গরু বেশি, কিন্তু ক্রেতা কম। শেষ মুহূর্তের বেচাবিক্রি না বাড়লে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন স্থানীয় খামারি ও ব্যবসায়ীরা।