ঢাকা   শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে আরও ৫২ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি

অর্থ ও বাণিজ্য

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২৯ মে ২০২৫

সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে আরও ৫২ প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি

বিশ্বের বাজারে সুগন্ধি চালের চাহিদা মেটাতে নতুন করে আরও ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮০০ টন চাল রপ্তানি করতে পারবে। এর আগে গত ৮ এপ্রিল ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার ১৫০ টন চাল রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। দুই দফায় মোট অনুমোদন দাঁড়াল ২৩ হাজার ৯৫০ টনে।

বুধবার (২৮ মে) জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, নতুন অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রপ্তানি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। প্রতি কেজি সুগন্ধি চালের রপ্তানিমূল্য নির্ধারিত হয়েছে কমপক্ষে ১.৬০ মার্কিন ডলার, যা বর্তমান ডলার বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ১৯৬ টাকা ৮০ পয়সা।

বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সুগন্ধি চালের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ এবং আবেদন বিবেচনায় নিয়েই নতুন করে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শর্ত অনুযায়ী, অনুমোদিত পরিমাণের বেশি চাল রপ্তানি করা যাবে না, অনুমতি হস্তান্তরযোগ্য নয়, এবং প্রতিটি চালান জাহাজীকরণের পর সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশে সুগন্ধি চাল রপ্তানি শুরু হয়। প্রথম বছর রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬৬৩ টন, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৮৭৯ টনে। এরপর নানা জটিলতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি কার্যক্রম স্থগিত থাকে। তবে এবার নতুন অনুমতির মাধ্যমে ফের রপ্তানির গতি ফিরছে।

বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টন সুগন্ধি চাল উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে গড়ে ১০ হাজার টন রপ্তানি হয়ে থাকে। কালিজিরা, চিনিগুঁড়া, বাদশাভোগ, কাটারিভোগ, রাঁধুনিপাগলসহ ২০টিরও বেশি জাতের চাল রপ্তানি তালিকাভুক্ত।

রপ্তানির সঙ্গে খাদ্য, কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করে। তবে রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন, অনুমতির পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফাইটোস্যানিটারি সনদ না পেলে বাস্তবে রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। তাই যথাযথ সমন্বয়ই এখন সফল রপ্তানির প্রধান চাবিকাঠি।