সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে জুয়েলারি ব্যবসা বন্ধ থাকলেও সেই কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সংগঠনটি জানিয়েছে, আসন্ন ঈদুল আজহা ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় আপাতত দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (৩০ মে) থেকে দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাজুসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহসভাপতি রিপনুল হাসানকে “ভুয়া রাজনৈতিক পরিচয়” দেখিয়ে হয়রানিমূলক মামলায় ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁকে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকার পরও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গ্রেপ্তার করায় সারা দেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করেন। দিনভর এই ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি দেশের ব্যবসায়িক অঙ্গনে বিরল উদাহরণ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছে বাজুস।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সহসভাপতির প্রতি অন্যায় আচরণ এবং হয়রানির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা যে সংহতি প্রকাশ করেছেন, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে বাজুস সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছে, এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রিপনুল হাসানের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণায় তারা বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এই মুহূর্তে ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের প্রয়োজন এবং তদন্তের সুযোগ বিবেচনায় অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।
