বাংলাদেশি অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন এখন যুক্তরাষ্ট্রের অভিনয় জগতে নিয়মিত মুখ। ঢাকার আলোচিত এই তারকা বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাস করছেন এবং হলিউডে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে মাসে মাসে রয়্যালটি পাচ্ছেন—ঠিক যেমনটা পেয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার অভিনয়শিল্পীরা।
মিলনের হলিউডে প্রবেশ ঘটে বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনার ছবি এম আর–৯: ডু অর ডাই–এর মাধ্যমে। এরপর তিনি যুক্ত হন ‘স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড–আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টস’ (সেগ-আফট্রা)–এর সদস্যপদে, যা মূলধারার মার্কিন চলচ্চিত্র ও টিভি শিল্পীদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি সংগঠন। এই সদস্যপদই তাঁর জন্য খুলে দিয়েছে হলিউডে কাজের দরজা।
এরপর মিলন অভিনয় করেন লায়নগেট প্রযোজিত বনইয়ার্ড ছবিতে, যেখানে অভিনয় করেছেন অস্কারজয়ী মেল গিবসন। ছবির পরিচালক ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আসিফ আকবার। মিলনের ভাষ্যে, “ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী আমি এখন প্রতি মাসে অভিনীত সিনেমার আয় অনুযায়ী ডলার পাই। এটা সম্মানের।”
বর্তমানে মিলন লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি কলেজে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়ছেন এবং অভিনয়ের কর্মশালাও পরিচালনা করছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও এসেছে বড় পরিবর্তন—স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একমাত্র ছেলেকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হন, আর এবার দেশে এসে নতুন বিয়েও করেছেন।
মিলন বলেন, “আমি দেশের অভিনয় ছেড়ে দিয়েছি বলা যায়। তবে দেশের ক্যামেরা, থিয়েটার, মঞ্চ—সবই মিস করি।” আগামী জুলাইয়ে তাঁর নতুন একটি হলিউড সিনেমা মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন, যদিও এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি নন তিনি।
শিল্পী হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও মিলনের হৃদয়ের একটি বড় অংশ আজও ঢাকাতেই রয়ে গেছে—নাট্যজগতের আলোয় মোড়া সেই পরিচিত ক্যামেরার সামনে।
