
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের নগদ লেনদেন নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩ জুন থেকে ঈদের আগের দিন (৬ জুন) পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামের পশুর হাটসংলগ্ন ব্যাংক শাখা ও উপশাখাগুলো রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময়ের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বিপুল নগদ লেনদেন হওয়ায় এসব এলাকার কাছাকাছি ব্যাংক শাখাগুলো খোলা রাখা জরুরি। এর মাধ্যমে পশু বিক্রেতা ও ক্রেতারা নিরাপদে টাকা জমা, উত্তোলন ও লেনদেন করতে পারবেন। প্রয়োজনে ব্যাংকগুলো অস্থায়ী বুথ স্থাপন করে তা নিশ্চিত করবে।
বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন উত্তরা দিয়াবাড়ি, ভাটারা, খিলক্ষেত, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, বনরূপা, ইত্যাদি এলাকাগুলো এবং ঢাকা দক্ষিণে লেদার টেকনোলজি কলেজ, খিলগাঁও, পোস্তগোলা, ধোলাইখাল, শ্যামপুর, কমলাপুর ও আমুলিয়া অঞ্চলের পশুর হাটগুলোতে বাড়তি জনসমাগমের কারণে ব্যাংকিং সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া চট্টগ্রামের সাগরিকা হাট এলাকাও এই ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ব্যাংক কর্মকর্তারা অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করায় তাদেরকে বিশেষ ভাতা প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অস্থায়ী বুথে অর্থ জমা, উত্তোলন এবং নতুন হিসাব খোলার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এই বিশেষ ব্যাংকিং ব্যবস্থাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ৭ জুন (শনিবার) ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন ধরে এই কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে পশু কেনাবেচায় অংশ নেওয়া সব পক্ষ স্বাচ্ছন্দ্যে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে।