ঢাকা   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

পুঠিয়ার গ্রামের হাটে মাসে বিক্রি ৮ কোটি টাকার কলা

গ্রামবাংলা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

পুঠিয়ার গ্রামের হাটে মাসে বিক্রি ৮ কোটি টাকার কলা

কলাচাষেও পিছিয়ে নেই রাজশাহী। জেলার হাটগুলো থেকে কলা সরবরাহ হয়ে আসছে সারাদেশে। শুধুমাত্র পুঠিয়া উপজেলায় এক গ্রামের হাটে মাসে প্রায় ৮ কোটি টাকার কলা বেচাকেনা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছরের ব্যবধানে রাজশাহীতে কলাচাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। চলতি মৌসুমে জেলায় কলাবাগানের পরিমাণ ২ হাজার ৩৪৫ হেক্টর। কলার সবচেয়ে বড় হাট পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ও ঝলমলিয়া বাজার।

তবে নজর কাড়ছে অজপাড়াগায়ের মোল্লাপাড়া হাটও। প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার সকালে এ হাট বসে। শুধুমাত্র কলা বেচাকেনায় দেশজুড়ে ছড়িয়েছে এ হাটের নাম। কলা কিনতে মোল্লাপাড়া হাটে আসেন রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, সিলেট ও পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বড় বড় ব্যবসায়ীরা।

হাট ইজারাদাররা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলে কলার সিজন বৈশাখ ও চৈত্র মাস। সিজনে প্রতি হাটে এক কোটি টাকার কলা বেচাকেনা হয়। মাসে প্রায় ৮ কোটি টাকার কলা ক্রয়বিক্রয় হয় এ মোল্লাপাড়া হাটে। তবে অন্য সময়ে প্রতিহাটে বেচাকেনা হয় প্রায় ৬০-৭০ লাখ টাকার কলা।

তারা জানান, প্রায় এক হাজার চাষি কলা বিক্রির জন্য এ হাটে আসেন। ব্যাপারীর সংখ্যা ৫০০। তবে বড় ব্যাপারী রয়েছেন ১০০ জন। কলার কাঁদি স্থানীয় ভাষায় ‘কাইন’ নামে পরিচিত। সিজনে প্রতি কাইনের দাম পাওয়া যায় এক হাজার টাকা। তবে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪০০-৫০০ টাকা দরে। বড় সাইজের কাইনের দাম পরিস্থিতি বিবেচনায় ৬০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছেন চাষিরা।

জাকির হোসেন নামে এক কলাচাষি বলেন, ‘তুলনামূলক যে বাজার যাচ্ছে, এ বাজারের তুলনায় আরও কাইনপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা হতে হবি। তাইলেগ্যানি (তাহলে) আমরা জমিওয়ালা যেগল্যা, মানে আমরা কলা যারা করি, তাদের কিছু থাকবে। প্রতি কাইনে আমাদের খরচই ২০০-২৫০ টাকা আমাদের জমিতেই, অতটা ভাল করতে পারছি না। কিন্তু এটা পার ৫০০ টাকা আসতে হবে।’

শেয়ার বিজনেস24.কম