ঢাকা   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল যমুনার সামনের রাজপথ: রাতভর অবস্থান কর্মসূচি, চলছে বিক্ষোভ

রাজনীতি

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০৪, ৯ মে ২০২৫

আপডেট: ১০:০৯, ৯ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল যমুনার সামনের রাজপথ: রাতভর অবস্থান কর্মসূচি, চলছে বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগকে “গণহত্যাকারী” আখ্যা দিয়ে দলটি নিষিদ্ধ ও বিচারের আওতায় আনার দাবিতে রাজধানীর গুলশানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে রাতভর বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচি শুক্রবার (৯ মে) সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ কর্মসূচির ডাক দেন। তিনি লেখেন, “গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।”

রাত ১টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ নেতারা মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে উপস্থিত হন। রাত ২টার দিকে নাহিদ ইসলাম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু নয় মাস পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি, তাই আমাদের আবার রাজপথে নামতে হলো।”

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মুখে ছিল বিভিন্ন স্লোগান:

  • "ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো"

  • "আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে"

  • "লীগ ধর, জেলে ভর"

  • "আজাদি আজাদি", "ঢাকা ঢাকা, দিল্লি না"
    এগুলো প্রতিফলন করে তাদের ক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং রাজনৈতিক অবস্থানের।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, “নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সব আনুষ্ঠানিকতা প্রায় সম্পন্ন, এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।”

তিনি আরও লেখেন, “গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নিষিদ্ধ ও রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার।”

উল্লেখ্য, এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে এনসিপি ও তাদের ছাত্র-সমর্থকেরা স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন—তাদের চোখে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের প্রতিবন্ধক, এবং নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

এই পরিস্থিতি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।