
রাজশাহীতে মিষ্টি কুমড়ার ভেতরে অভিনব কায়দায় মাদক পাচারকালে ৬১৯ গ্রাম হেরোইনসহ আপন আলী (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দীগরাম ঘুন্টিঘর মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এক গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এ তথ্য জানিয়েছে। গ্রেফতার আপন আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পিয়ারাপুর এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে অভিযান চালায় সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল। এসময় ৬১৯ গ্রাম হেরোইন, একটি মোবাইল ফোন ও একটি অটোরিকশাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় আপনকে। তিনি একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। পেশায় একজন অটো চালক হলেও অটো চালানোর আড়ালে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকায় হেরোইনের চালান সরবরাহ করতেন।
র্যাব জানিয়েছে, এরূপ গোয়েন্দা তথ্য প্রাপ্তির পর র্যাবের গোয়েন্দা দল তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে হেরোইনের একটি চালান সরবরাহ করা সংক্রান্ত তথ্য পায় র্যাব। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ওই এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে। চেক পোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকে আটক করে।
উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আপন আলী তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার হেফাজতে থাকা অটোর বাম পাশের হ্যান্ডেলের সঙ্গে ঝুলানো একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে একটি মিষ্টি কুমড়ার ভিতর অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৬১৯ গ্রাম ওজনের ছয়টি হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে, পৃথক আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। র্যাব জানায়, সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন খরখড়ী এলাকা থেকে মো. রায়হাতুল সালমান রাজ (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জেলার দুর্গাপুর উপজেলার হাট কানপাড়া এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে।
র্যাবের ভাষ্য, রাজের কাছে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন এবং ২ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। এসময় মাইনুল ইসলাম, মো. জনি, আইয়ুব আলী, রফিকুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যান। গ্রেফতার ও পলাতক আসামিরা পরস্পরের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্ত্রের ব্যবসা করে আসছিলেন। গ্রেফতার আসামি নিজেও র্যাবের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাকে আরএমপির চন্দ্রিমা থানায় এজাহার মুলে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব।
শেয়ার বিজনেস24.কম