facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান


৩০ মে ২০২৩ মঙ্গলবার, ০৬:২৯  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান

১৪ বছর পর ফেডরেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মতিঝিল পাড়ার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

মোহামেডানের পাঁচ শটের মধ্যে একটি মিস হয় আর আবাহনীর প্রথম চারটির মধ্যে দুটি মিস করে৷

মোহামেডানের বদলি গোলরক্ষক বিপু দুটি সেভ করেন৷

১৯৮০ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের অভিষেক চ্যাম্পিয়নও ছিল মোহামেডান। যৌথভাবে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে জিতেছিল সাদা-কালো দলটি। প্রথম আসরে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটির বিদেশি খেলোয়াড় আজকে করলেন এক বিশেষ ইতিহাস। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে কোনো ফুটবলার চারটি গোলের কৃত্তিত্ব নেই। ৪৩ বছরের এই টুর্নামেন্টে বিরল রেকর্ড গড়লেন মালির ফুটবলার সুলেমান দিয়াবাতে।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে যেন ফিরে এসেছিল কাতার বিশ্বকাপের লুসাইলের ফাইনাল। আর্জেন্টিনা দুই গোলে লীড নিয়েছিল এরপর ফ্রান্স জোড়া গোল করে সমতা আনে।আজকের ম্যাচেও এমন হয়েছে আবাহনী দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মোহামেডান ২-২ সমতা আনে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে আবাহনী ২-০ গোলে লীড নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে চার মিনিটের ব্যবধানে মোহামেডান দুই গোল পরিশোধ করে। এই গোল পরিশোধ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার আবাহনী গোল করে লিড নেয়। ৮০ মিনিটের পর সুলেমান দিয়াবাতের হ্যাটট্রিকে মোহামেডান ম্যাচে সমতা আনে। ফেডারেশন কাপের ফাইনালের ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম হ্যাটট্রিক।

আট বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনাল অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। বিশ^কাপ ফাইনালের মতোও বাংলাদেশের ফেডারেশন কাপের ফাইনালও একটি করে গোল হয়। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শুরুতে আবাহনী চেপে ধরে মোহামেডানকে। গোলরক্ষক সুজন দুর্দান্ত দু’টি সেভ না করলে মোহামেডান ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে পারত।

রেফারিং নিয়ে দাবি তোলা মোহামেডান এই ম্যাচে পেনাল্টি পায়। অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতেকে ফাউল করলে রেফারি আলমগীর পেনাল্টির বাশি বাজান। দিয়াবাতের গোলে মোহামেডান ম্যাচে প্রথমবারের মতো লীড নেয়।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। বদলি গোলরক্ষক বিপু মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই রহমতের গোলে সমতা আনে আবাহনী। ৪-৪ গোলে থাকা ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়।

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো ফেডারেশন কাপের ফাইনালেও এমবাপ্পের ন্যায় সুলেমান নিতে আসেন। সুলেমান গোলও করেন। আবাহনীর প্রথম শটটি মিস করেন রাফায়েল। মোহামেডান টাইব্রেকারে শুরুতেই লিড বজায় রাখে। মোহামেডানের চতুর্থ শট মিস হলে টাইব্রেকারে সমতা আনার সুযোগ ছিল আবাহনীর। বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার কোস্টারিকান ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস টাইব্রেকার মিস করেন। পঞ্চম শটে কামরুল গোল করলে মোহামেডানের ১৪ বছরের ফেডারেশন কাপের শিরোপা বন্ধ্যাত্বতা ঘোচায়।

প্রথমবারের মতো আবাহনী-মোহামেডানের ফাইনাল ঢাকার বাইরে অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লাবাসী অসাধারণ একটি ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে। কর্মব্যস্ত মঙ্গলবার ও জ্যেষ্ঠের ভরদুপুরে যারা এসেছিলেন তারা সাম্প্রতিক সময়ে ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম সেরা ম্যাচের স্বাক্ষীও হয়েছে। কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামও যেন চেয়েছে মোহামেডানের হাতেই উঠুক শিরোপা। পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া মোহামেডান ও কুমিল্লার সন্তান বাদল রায়ও যেন তৃপ্তি হন। সাবেক এই ফুটবলারের উদ্যোগেই এটি মোহামেডানের হোম ভেন্যু হয় এবং এখন দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল ভেন্যু।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: