ঢাকা   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

লোকসানি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণে নতুন আইন

বিশেষ প্রতিবেদন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ১ মার্চ ২০২৫

লোকসানি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণে নতুন আইন

বাংলাদেশ সরকার দেশের লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একীভূত, বিলুপ্ত বা বেসরকারিকরণের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ‘সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ (ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়) আইন, ২০২৫’ শিরোনামে একটি খসড়া আইন প্রস্তুত করা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষমতা অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রদান করা হবে।

সরকারি মালিকানাধীন অনেক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনছে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে বোঝা হয়ে উঠেছে। সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এগুলো লাভজনক করা সম্ভব হয়নি। নতুন আইনটির লক্ষ্য এ সমস্যার সমাধান করা। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় এ আইন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

আইনের প্রধান নির্দেশনা:

  • সরকার যেকোনো সময় লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এক বা একাধিক নিরপেক্ষ পরিচালক নিয়োগ করতে পারবে।
  • দুর্নীতি বা ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে শীর্ষ কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
  • সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম তদারকির জন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে, যা বেসরকারিকরণ বা বিলুপ্তির সুপারিশ করবে।
  • প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক লক্ষ্য, ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও গ্রাহক সন্তুষ্টি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করবে। তথ্য গোপন বা ভুল তথ্য প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থনীতিবিদদের মতামত অনুযায়ী, নতুন আইন কার্যকর হলে সরকারের জন্য লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি খাতে স্থানান্তর বা বন্ধ করা সহজতর হবে।

সিপিডির ড. ফাহমিদা খাতুন মন্তব্য করেছেন, শুধুমাত্র লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত, তবে অত্যাবশ্যক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের অধীনে রাখা প্রয়োজন।

সাবেক অর্থ ও বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ একে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন, তবে সতর্ক করে বলেছেন, ‘শুধু একটি আইনের মাধ্যমে পরিবর্তন আসবে না। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সাহসী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণই হবে এ উদ্যোগের সফলতার মূল চাবিকাঠি।’

শেয়ার বিজনেস24.কম