facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪

Walton

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ৫০ মনিটরিং টিম


২০ মার্চ ২০২৩ সোমবার, ১২:৩৫  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ৫০ মনিটরিং টিম

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৩ বা ২৪ মার্চ রোজা শুরু। আমাদের দেশের মানুষ সাধারণত অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানে একটু ভালো খাবার-দাবার আয়োজনের চেষ্টা করে। তাছাড়া সিয়াম সাধনার এই মাসের শেষেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। সবমিলে এই সময়টায় খরচের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিন্তু যুদ্ধ, ডলার সঙ্কট, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়াসহ নানা কারণে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। ফলে স্বস্তি নেই বাজারে। নিত্যপণ্যসহ সব জিনিষের দামই বাড়তি। যদিও বাজারে পণ্যের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও রোজা উপলক্ষে দাম আরো বৃদ্ধির শঙ্কা।

ইতোমধ্যে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা রোজায় দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ রেখেছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন নির্দেশনা। বিভিন্ন দপ্তর থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেই সাথে জেলা প্রশাসকদেরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মানুষের যেন কষ্ট না হয় সে জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বেশি বেশি পণ্য কিনে ঘরে মজুদ না করারও আহবান জানিয়েছেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ব্যবসায়ীদের বলব, আপনারা একটু সংযমী হোন। যা ন্যায্যমূল্য সেটাই নেবেন, আমরা সারাদিন পাহারা দিতে পারব না। আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম, আপনারা দায়িত্ব নেবেন কি না। অন্যদিকে ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান সামনে রেখে হুমড়ি খেয়ে কেনার কিছু নেই। একটু সাশ্রয়ী হোন। পাঁচ কেজি পেঁয়াজের জায়গায় আপনারা ২০ কেজি কেনা শুরু করলে বাজারে হুট করে সরবরাহ চলে আসবে না।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকারের ১০টি সংস্থা মাঠে থাকবে এবং ১৫টি পণ্যের দাম বেঁধে দিতে কাজ চলছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহে মাঠে থাকবে টিসিবি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি বাজার মনিটরিংয়ে। সারাদেশে ৫০টি টিম কাজ করবে। আর ঢাকায় আমাদের তিনটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি টিম কাজ করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বাজারে কঠোর মনিটরিংয়ের। মনিটরিংয়ে বাজারের যে কমিটি আছে তাদেরও সম্পৃক্ত করেছি। গাফিলতি থাকলে বাজার কমিটি বাতিল করব।

এদিকে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কঠোর নজরদারি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। রমজানে যাতে জিনিসপত্রের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো না হয় সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে সরকার। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), কৃষি বিপণন অধিদফতর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশনের মনিটরিং টিমও কাজ করবে বলে জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে ভার্চুয়ালি সভা করে রোজায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবারের মতো এবারও বাজারগুলোতে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: