facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪

Walton

মধুমাসে কলাপাড়ায় ফলের সমারোহ


৩১ মে ২০২৩ বুধবার, ১০:৫৯  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


মধুমাসে কলাপাড়ায় ফলের সমারোহ

এখন জ্যৈষ্ঠ মাস। জ্যৈষ্ঠকে বলা হয় বাংলার মধুমাস। ফলে এই সময় দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসছে মৌসুমি ফল। বাজারে উঠতে শুরু করেছে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, বেল ও পেয়ারাসহ নানা জাতের ফল। এই মধুফলে আকৃষ্ট হয়ে বাজারগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। যদিও পাইকারি ও খুচরা বাজারে ফলের দামে বিস্তার ফারাক লক্ষ্য করা যায়। পরিস্থিতি এমন, খুচরা বাজারে অধিকাংশ ফলের দাম পাইকারি আড়তের তুলনায় দ্বিগুণ।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলায় জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশীয় ফলের আগমনে ফলের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। আম, লিচু, কাঁঠাল, জাম, বেল, জামরুল ও সফেদাসহ মৌসুমী ফলে ভরে গেছে স্থানীয় বাজারগুলো। আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন রসাল ফল আসতে শুরু করেছে বাজারগুলোতে । বাজারে আকার অনুপাতে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁঠাল।

বাজারগুলোতে ঘুরে আরো দেখা যায়, প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে, আনারসের জোড়া ১০০-১২০ টাকা, ১০০টি লিচু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও কেজি প্রতি জামরুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি পিস তাল ছোট (তিন কোষ) ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় তাল (তিন কোষ) ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর এসব ফলের দাম কমে আসবে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে প্রথম দিকে আসা ফলগুলোর দাম একটু বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে দাম কিছুটা কমেছে। তবে স্থানীয় উৎপাদিত ফলেও অনেকটা চাহিদা পূরণ হচ্ছে এখানকার বাজারগুলোর। তীব্র গরমে প্রতিদিনই অনেক ফল নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান তারা। ফলে বেশিরভাগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।

কুয়াকাটা বাজারের খুচরা ফল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন বলেন, বর্তমানে বাজারে থাকা ফলগুলোর দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি। তবে দাম অল্প সময়ের মধ্যেই আরও কমে যাবে। কারণ প্রচন্ড গরমে সব ফল একসঙ্গে পেকে যাচ্ছে, তাই বিক্রি বাড়ছে এবং বাজারগুলোতে চাহিদাও রয়েছে বেশ।

কুয়াকাটা কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ইয়াসিন বলেন, বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম। প্রকারভেদে প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে আম। তবে আগের থেকে একটু দাম কমেছে। এ বছর সব ধরনের মধু ফলে চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করছি।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: