facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

দুবাই পুলিশ খুঁজছে আরাভকে


২১ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার, ০৯:৫৬  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


দুবাই পুলিশ খুঁজছে আরাভকে

দুবাইয়ের বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম আরাভকে খোঁজা হচ্ছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁকে দেশে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রেড নোটিশ গ্রহণ করেছে ইন্টারপোল। এরই মধ্যে দুবাই পুলিশও তাঁকে খুঁজছে। কারও কারও আশঙ্কা, গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দুবাই ছাড়তে পারেন। আরাভ খান নাম ব্যবহার করে নেওয়া তাঁর ভারতীয় পাসপোর্টে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ভিসা রয়েছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত সময়ে আমরা তা আপনাদের জানাব।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় যে নামে চার্জশিট হয়েছে, সেই নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খবর এসেছে, ইন্টারপোল এটি গ্রহণ করেছে। এখন বাকি কাজ তারা করবে। নোটিশ অবশ্য ‘আরাভ খান’ নামে হবে না। পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় এ আসামির যে নাম আছে, সেই ‘রবিউল ইসলামের’ নামে নোটিশ জারি করতেই পাঠানো হয়েছে চিঠি।

গতকাল বিকেল পর্যন্ত ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় বাংলাদেশের ৬২ জনের নাম পাওয়া যায়। সেখানে আরাভ খান বা রবিউল ইসলাম নামে কেউ নেই। ইন্টারপোলের আট ধরনের নোটিশের মধ্যে রেড নোটিশ জারির অর্থ হলো ওই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও বিচার বিভাগ বিচারের মুখোমুখি করতে অথবা দণ্ড কার্যকর করার জন্য খুঁজছে। সদস্য দেশগুলো ইন্টারপোলের মাধ্যমে পলাতক আসামি সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং সে দেশের সরকার তা খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে, তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সে দেশের সরকারই তার বিচার শুরু করবে। আর তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হলে আসামি প্রত্যর্পণ চুক্তির প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ ও দুবাইয়ের মধ্যে এই চুক্তি নেই।

এদিকে আরাভ খান তাঁর ফেসবুক লাইভে নানা কাহিনি প্রচার করছেন। সেখানে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাকে বিপদে ফেলছেন। আমি অপরাধী কিনা– এটা আদালত দেখবে। কেন আমাকে খুনি বলা হবে। দেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। এটাই আমার শেষ ইচ্ছা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বলেও জানান এই বিতর্কিত ব্যক্তি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, আরাভের গতিবিধির ওপর তথ্য রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ভিসা থাকায় দুবাই ছেড়ে যে কোনো দেশে আরাভ পালাতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। তবে তাঁর নামে কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকাকালে বাংলাদেশে এসেছেন, এমন তথ্যও নেই। ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোনো নামের পাসপোর্ট ব্যবহার করে আরাভ বাংলাদেশে এসেছেন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: