ঢাকা   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শেয়ারবাজারে বাজেট-পরবর্তী ধাক্কা সামলে স্বস্তির আভাস, তবে গতি অনিশ্চিত

শেয়ারবাজারে বাজেট-পরবর্তী ধাক্কা সামলে স্বস্তির আভাস, তবে গতি অনিশ্চিত

বাজেটের পরদিনই পতনে নেমে আসা শেয়ারবাজার আজ কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ৪৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৭০৯ পয়েন্টে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়েছে। গতকাল সূচকটি প্রায় ২৫ পয়েন্ট কমে যাওয়ার পর আজকের এই উত্থান বাজারের নেতিবাচক প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসার একটি ইঙ্গিত দিচ্ছে।

লেনদেনের শুরু থেকেই বাজার ছিল ইতিবাচক ধারায়। সূচকের ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দিনশেষেও বজায় ছিল। তবে সূচকের এ উত্থান সত্ত্বেও লেনদেনে গতি আসেনি। আগেরদিন যেখানে লেনদেন হয়েছিল ২২৯ কোটি টাকার বেশি, আজ তা সামান্য কমে ২২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনো বড় অঙ্কের ঝুঁকি নেওয়ার মনোভাব ফিরে আসেনি।

বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, আজকের সূচক বৃদ্ধি অস্থায়ী হতে পারে। তাদের মতে, লেনদেন কমে যাওয়া মানে বাজারে এখনো সক্রিয় অংশগ্রহণ নেই বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। ফলে বাজারে আস্থার সংকট কাটেনি। অনেক বিনিয়োগকারী এখনো বাজেট-পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আছেন।

বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার সম্ভাবনা এবং দেশীয় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও বাজারের ওপর প্রভাব ফেলছে। কেউ কেউ আশাবাদী যে, বাজেটে ঘোষিত প্রণোদনার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক হতে পারে। তবে এর বাস্তবায়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্লেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বিনিয়োগকারীদের এখন সতর্কতার সঙ্গে মৌলিক বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গুজব বা স্বল্পমেয়াদি গুজবনির্ভর প্রবণতার বদলে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। শেয়ারবাজারে সত্যিকার স্থিতিশীলতা ফিরতে আরও সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।