ইরান ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। একদিকে তিনি শান্তির আহ্বান জানিয়ে বলছেন, শিগগিরই সমাধান আসবে, অন্যদিকে খামেনিকে হত্যার আশঙ্কা প্রকাশ এবং ইরানে ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট নয়। অনেকেই মনে করছেন, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্ররোচনায় যুদ্ধের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন। আবার কেউ বলছেন, এ যুদ্ধংদেহী বক্তব্য ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে বাধ্য করতে কৌশল মাত্র।
বিশেষজ্ঞ জামাল আবদি মনে করেন, ট্রাম্প ভয়ভীতি দেখিয়ে ইরানকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে চাইছেন। অন্যদিকে বিশ্লেষক নেগার মরতাজাভি বলছেন, ট্রাম্প জানেন না তিনি আসলে কী চান—নির্বাচনী প্রচারে ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে পরিচিত হলেও বাস্তবে তিনি একের পর এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন।
ইসরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যে ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনা এবং তেল পরিকাঠামো আক্রান্ত হয়েছে। শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারাও আছেন। জবাবে ইরানও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলে প্রাণহানি ঘটিয়েছে।
মরতাজাভির মতে, ইরান সরকারের পতন হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে—গৃহযুদ্ধ, অস্থিরতা আর বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত হবে অঞ্চল। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।
মানবাধিকার সংস্থা ডন-এর নির্বাহী পরিচালক সারা লিহ হুইটসন হুঁশিয়ার করেছেন, ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পের হুমকি শুধু আঞ্চলিক নয়, বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কাও বাড়াচ্ছে। এ নীতিহীন দ্বৈত বার্তা আগুনে ঘি ঢালছে, যা পুরো বিশ্বকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
