
বড় টুর্নামেন্টের সৌন্দর্য হয় চমকে, যেখানে আন্ডারডগ দল হারিয়ে দেয় পরাশক্তিকে। এমনই এক গল্প রচনা করল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো। ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে রচনা করল অনন্য ইতিহাস।
ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোলে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বোতাফোগোর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ইগর জেসুস। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে সতীর্থ জেফারসন সাভারিনোর পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে তিনি বল জালে পাঠান। এর ফলে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিল দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক ক্লাবটি।
মাঠের পরিসংখ্যান অবশ্য পিএসজির আধিপত্যই দেখিয়েছে। ৭৫ শতাংশ বলের দখল ছিল ফরাসি জায়ান্টদের দখলে, ১৬টি শট নিয়েও তারা গোলের দেখা পায়নি। অন্যদিকে বোতাফোগো ২৫ শতাংশ বল পায়ে রেখে ৪টি শটের সবকটিই লক্ষ্যে রেখেছে। দৃঢ় রক্ষণ ও প্রতি-আক্রমণের কার্যকর ব্যবহারে পিএসজির তারকাসমৃদ্ধ আক্রমণভাগকে দাঁড়াতেই দেয়নি তারা।
অপ্টার সুপারকম্পিউটারের হিসাবে ম্যাচের আগে পিএসজির জয়ের সম্ভাবনা ছিল ৮১.৯ শতাংশ। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারানো পিএসজিকে থামিয়ে সেই সম্ভাবনা উল্টে দিল বোতাফোগো।
৫৩ হাজার দর্শকের সামনে পাওয়া এই জয় ফিফার টুর্নামেন্টে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নকে হারানোর প্রথম নজির হিসেবে কনমেবল দলের নাম ইতিহাসে তুলে দিয়েছে। পিএসজির বিপক্ষে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও ধরে রেখেছে বোতাফোগো, যারা ১৯৮৪ সালের প্রীতি ম্যাচেও জয়ী হয়েছিল ৩-১ গোলে।
ম্যাচ শেষে বোতাফোগোর নায়ক জেসুস বলেন, ‘সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছিল। আমি শুধু সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে।’ বোতাফোগোর এই জয় শুধু ইতিহাস নয়, ক্লাব বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাবগুলোর অজেয় থাকার ধারা অব্যাহত রাখল।