তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তাদের শরিয়াহ সূচক (সিএসআই) পুনর্গঠন করেছে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, আগামী ছয় মাসের জন্য শরিয়াহ-সম্মত বিনিয়োগের উপযোগী হিসেবে ১১২টি কোম্পানি নির্বাচিত হয়েছে। নতুন তালিকাটি বৃহস্পতিবার থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য কার্যকর হচ্ছে।
এই পুনর্গঠনে হেইডেলবার্গ মেটেরিয়ালস বাংলাদেশ নতুন করে শরিয়াহ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা সিএসই নির্ধারিত সব শরিয়াহ স্ক্রিনিং মানদণ্ড পূরণ করেছে। অন্যদিকে এএফসি অ্যাগ্রো বায়োটেক, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, ম্যারিকো বাংলাদেশ ও ইয়াকিন পলিমারসহ ১০টি কোম্পানি সূচক থেকে বাদ পড়েছে। এছাড়া লেনদেন স্থগিত থাকায় এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক-কেও তালিকা থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে সিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৮৪টি কোম্পানির মধ্যে ১১২টি প্রতিষ্ঠান শরিয়াহ সূচকের আওতায় রয়েছে। সাধারণত যেসব প্রতিষ্ঠানের মূল ব্যবসা ইসলামি শরিয়াহ পরিপন্থী নয় এবং যাদের ঋণ কাঠামোয় সুদভিত্তিক নির্ভরতা সীমিত, কেবল সেসব প্রতিষ্ঠানই এই সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়। সিএসই’র বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর কোম্পানিগুলোর আর্থিক ও ব্যবসায়িক কাঠামো পর্যালোচনা করে সূচকের সংযোজন ও বিয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
খাতভিত্তিক হিসাবে বস্ত্র খাত থেকে সর্বাধিক ১৮টি কোম্পানি শরিয়াহ সূচকে রয়েছে। ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল—এই দুই খাত থেকে ১৬টি করে প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত থেকে রয়েছে ৪টি, আর তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৭টি কোম্পানি শরিয়াহ-সম্মত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এ ছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ১২টি, খাদ্য খাতের ৮টি, বিমা খাতের ৬টি, চামড়া ও জুতা খাতের ৪টি এবং সিমেন্ট ও সিরামিক খাত থেকে ৩টি করে কোম্পানি সূচকে স্থান পেয়েছে। বিবিধ খাতে রয়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠান। টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটা শরিয়াহ নীতিমালা অনুসরণ করায় সূচকে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। পাশাপাশি সেবা ও কাগজ খাত থেকেও দুটি করে কোম্পানি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সিএসই’র এই হালনাগাদ শরিয়াহ সূচক নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ অনুসরণকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া এই সূচক আগামী ছয় মাস বহাল থাকবে, যা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করবে।
























