ঢাকা   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

ইসলামের চোখে শান্তির পক্ষেই মুসলমানের অবস্থান

ধর্ম

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১১ মে ২০২৫

সর্বশেষ

ইসলামের চোখে শান্তির পক্ষেই মুসলমানের অবস্থান

ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষের ব্যক্তি জীবনের আচরণ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক পর্যন্ত, ইসলামের প্রতিটি বিধান গঠিত হয়েছে শান্তি, সহনশীলতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে। একজন মুসলমান শুধু নিজের আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের প্রতিই নয়, বরং প্রতিবেশী ব্যক্তি, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের প্রতিও দায়বদ্ধ। তাই যখন প্রতিবেশীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা যুদ্ধ শুরু হয়, তখন ইসলাম পক্ষপাত নয়, ন্যায়ভিত্তিক অবস্থানের কথা বলে।

বর্তমান বিশ্বে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘদিনের উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য সংঘর্ষে বাংলাদেশি মুসলমানদের করণীয় কী—তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন। পাকিস্তান মুসলিম দেশ হলেও ইসলাম বলে, ‘ভাই যদি জুলুম করে, তাকে থামানোই সাহায্য।’ অপরদিকে, ভারত অমুসলিম দেশ হলেও ইসলামী আদর্শে প্রতিবেশী হিসেবে তার প্রতি সদাচরণ করা ফরজ। তদুপরি ভারতে বসবাসরত প্রায় ২০ কোটির বেশি মুসলমান এই যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে—এ বাস্তবতাও এড়িয়ে যাওয়া যায় না।

সুতরাং ইসলাম যে শিক্ষা দেয় তা হলো—আবেগ নয়, বরং বিচক্ষণতা, মানবিকতা এবং ন্যায়বোধের সঙ্গে অবস্থান গ্রহণ করা। কোরআন বলে, ‘তোমরা ইনসাফ করবে—এটাই তাকওয়ার সবচেয়ে কাছাকাছি।’ যুদ্ধ নয়, শান্তির জন্য কাজ করাই হবে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির প্রকৃত অনুসরণ। বাংলাদেশি মুসলমানদের উচিত হবে উসকানিমূলক বক্তব্য ও পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকে বিরত থেকে ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায়নিষ্ঠ অবস্থান নেওয়া।

আমাদের করণীয় হলো—শান্তি ও ইনসাফের পক্ষে অবস্থান, মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির প্রচার এবং মিডিয়ার উসকানিমূলক প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করা। মনে রাখতে হবে, ইসলাম শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যা শান্তি প্রতিষ্ঠাকেই সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

 

সর্বশেষ