
প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠছে শহরের জনজীবনে। বৈশাখের শেষ প্রান্তে এসেও দম ফেলার জো নেই—রোদ যেন দিনকে দিন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে। এমন খরতাপে একটুখানি বাতাসের জন্য পথ চলতি মানুষ খুঁজছে সহজ, ঝামেলাহীন সমাধান। আর সেই সমাধানের নাম—ইলেকট্রিক হ্যান্ডফ্যান।
বিদ্যুৎ–চালিত এই হাতপাখা এখন আর কেবল ঘাম মুছতে ব্যবহৃত সামগ্রী নয়, বরং রীতিমতো এক ফ্যাশন আইকন! ব্যাগে রেখে রোদে বেরিয়ে পড়লেই হলো—জ্যামে, ফুটপাতে কিংবা গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে বাতাস পেতে পেতে স্টাইলও হবে বজায়।
ইলেকট্রিক হ্যান্ডফ্যান একদম নতুন কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক গরমে এর চাহিদা ও ব্যবহার অনেকগুণ বেড়েছে। এগুলো প্রায় সবই রিচার্জেবল ও পোর্টেবল। চার্জ দেওয়া যায় ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক বা মোবাইল চার্জার দিয়েই। একবার চার্জ দিলে চলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা অনায়াসে।
বাজারে হ্যান্ডফ্যানের রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইন ও সাইজ। ছোট ১০ সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে বড় ১০ ইঞ্চির ফ্যান পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। বহনযোগ্যতার কথা মাথায় রেখে অনেকেই ছোট ও হালকা ডিজাইনের দিকে ঝুঁকছেন। এসব ফ্যানে মজার সব ডিজাইন—হ্যালো কিটি, মাই মেলোডি, সিনামোরোল কিংবা মাই সুইট পিয়ানোর আদলে তৈরি ভিন্নধর্মী সংস্করণও রয়েছে। এসব স্টাইলিশ ফ্যানের দাম সাধারণত ১,০০০ থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে, আর ডিজিটাল স্ক্রিনসহ কিছু উন্নত ফিচারের ফ্যান আরও দামি।
বাজেট কম থাকলে রাজধানীর রাজলক্ষ্মী, নিউমার্কেট কিংবা আলাউদ্দিন টাওয়ারের বৈদ্যুতিক গ্যাজেটের দোকানগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। সেখানেও ২০০ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও নন-ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডফ্যান।
অন্যদিকে বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কের গ্যাজেট শপ, লাইফস্টাইল স্টোর, এমনকি মিনিসো ও ইয়ো ইয়ো সোতেও রয়েছে সুন্দর ও মানসম্মত হ্যান্ডফ্যানের সম্ভার। অনলাইনে অর্ডার করতে চাইলে দারাজ ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও মিলবে নানা রকম ডিজাইন।
উপসংহার:
এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ও স্টাইল বজায় রাখতে চাইলে ইলেকট্রিক হ্যান্ডফ্যান হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। সহজে বহনযোগ্য, রিচার্জেবল এবং নানা ডিজাইনের এই ফ্যান এখন কেবল প্রয়োজন নয়, বরং শহুরে জীবনের ফ্যাশন স্টেটমেন্টও।