প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহান বিজয় দিবসের রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলেছেন, “যারা ভোট বাক্স ডাকাতি করবে, তারা দেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণকারী। তারা নাগরিকদের শত্রু। তাদের থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “ভোট হলো জনগণের ভবিষ্যৎ রচনার অক্ষর। ভোট বাক্সে সযত্নে ভোট প্রদান করা জনগণের অধিকার ও দায়িত্ব। কেউ বাধা দিলে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিহত করতে হবে এবং প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে।”
ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, “ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ, সন্তানদের ভবিষ্যৎ। যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। ভোট রক্ষা করা দেশ রক্ষার সমান দায়িত্ব। ভোট দেশকে এগিয়ে নেয়ার গাড়ির চাকা, যা কাউকে চুরি করতে দেবেন না।”
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সরকার প্রশাসনে রদবদল করেছে। এই পরিবর্তনগুলো অনুরাগ বা বিরাগের কারণে নয়, বরং দক্ষতা, যোগ্যতা ও পেশাগত সক্ষমতার ভিত্তিতে করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, “দেশের প্রতিটি ভোটার যেন নিরাপদ পরিবেশে, ভয়মুক্ত মনে এবং সর্বোচ্চ স্বাধীনতায় ভোট দিতে পারে। নির্বাচন হোক উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু। নিরাপত্তা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং পর্যবেক্ষণ—সব দিকেই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার পথ।”
























