ঢাকা   সোমবার ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

নেটওয়ার্ক বাড়ানোর ৭ কার্যকর কৌশল

জীবনযাপন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ১৫ জুন ২০২৫

নেটওয়ার্ক বাড়ানোর ৭ কার্যকর কৌশল

জীবনে একা সফল হওয়া খুব কঠিন। চাকা যেমন একা ঘুরে না, তেমনি মানুষও অন্যের সহযোগিতা ছাড়া সামনে এগোতে পারে না। এ কারণে ব্যক্তিগত ও পেশাগত সফলতার জন্য শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা খুব জরুরি। তবে অনেকেই নেটওয়ার্কিং বলতে বোঝেন বিব্রতকর আলাপ, অচেনাদের জোর করে হাসি দিয়ে চেনা বা এমন কারও নম্বর নেওয়া যাকে পরে আর ফোনই করা হবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো—নেটওয়ার্ক যত বিস্তৃত হবে, তত বেশি বাড়বে চাকরি, ব্যবসা ও উন্নতির সুযোগ। তাই নিচে দেওয়া হলো এমন সাতটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়, যা আপনার নেটওয়ার্ক গড়ার যাত্রাকে অনেক সহজ করে দেবে।

প্রথমত, ঘরে বসেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গড়ুন। লিংকডইন বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে পেশাদার যোগাযোগ তৈরি করুন। প্রোফাইল হালনাগাদ ও পেশাদার ছবি দিন, আর মেসেজ পাঠানোর সময় ছোট, আন্তরিক ও আলাদা ভঙ্গি রাখুন। দ্বিতীয়ত, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের সময় প্রশ্ন করুন—তাঁর আগ্রহ, অভিজ্ঞতা, বা ছুটির পরিকল্পনা নিয়ে। এতে সম্পর্ক সহজ হয় এবং গুরুত্ববোধ তৈরি হয়।

তৃতীয়ত, পরিচিতদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন—এতে আপনি একজন ‘কানেক্টর’ হিসেবে পরিচিত হবেন এবং আপনার গুরুত্ব বাড়বে। চতুর্থত, শুধু নতুনদের সঙ্গে পরিচিত হওয়াই নয়, পুরোনো সম্পর্ক ধরে রাখাও জরুরি। নিয়মিত যোগাযোগই নেটওয়ার্ককে স্থায়ী করে। পঞ্চমত, নেটওয়ার্ক গড়ার জায়গা শুধু অফিস বা বড় ইভেন্ট না, বরং মেট্রোরেল, লাইনের অপেক্ষা বা টং দোকানেও হতে পারে। যেকোনো ছোট আলাপ একসময় বড় সম্পর্কের সূচনা হতে পারে।

ষষ্ঠত, প্রতি মাসে নতুন একজনের সঙ্গে আলাপ করার অভ্যাস গড়ুন। এটি অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এবং সপ্তমত, দুটি তালিকা তৈরি করুন—একটিতে থাকুক যাদের আপনি আগে থেকেই চেনেন, অন্যটিতে যাদের আপনি ভবিষ্যতে চিনতে চান।

সবশেষে, একটি আফ্রিকান প্রবাদ মনে রাখুন—‘তুমি যদি দ্রুত যেতে চাও, তবে একা যাও। আর যদি অনেক দূর যেতে চাও, তবে সবার সঙ্গে মিলে যাও।’ তাই নেটওয়ার্ক গড়ুন, মানুষ চিনুন এবং সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন—এই যোগাযোগই হতে পারে আপনার পরবর্তী বড় সাফল্যের চাবিকাঠি।