
কোরবানির ঈদের পর ঘরে ঘরে চলে গরুর মাংসের নানা পদ। দিনের পর দিন চলে মাংস খাওয়ার উৎসব। শুধু গরু নয়, এই সময় আসে খাসি, মহিষ, এমনকি ভেড়ার মাংসও। এসব প্রাণীর মাংস প্রোটিন, লৌহ, জিংক ও ভিটামিন বি-১২ এর চমৎকার উৎস হলেও অতিরিক্ত খাওয়া হতে পারে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ।
বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত ও লাল মাংস বেশি খেলে বাড়ে মলাশয়ের ক্যানসার ও উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা। যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস (NHS)’ বলছে, দৈনিক ৭০ গ্রাম রান্না করা লাল মাংস খাওয়া নিরাপদ। কেউ যদি ৯০ গ্রামের বেশি খান, তবে পরদিন সেই মাত্রা কমিয়ে ফেলতে হবে।
কেমন পরিমাণে খাবেন কোন ধরনের মাংস?
-
তিনটি পাতলা টুকরো গরুর মাংস (রোস্ট) – ৯০ গ্রাম
-
একটি বিফ স্টেক – ১৬৩ গ্রাম
-
বড় এক ডোনার কাবাব – ১৩০ গ্রাম
-
সাধারণ বিফ বার্গার – ৭৮ গ্রাম
-
দুটি সসেজ + দুটি পাতলা বেকন – ১৩০ গ্রাম
এই ওজনগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজে ধারণা নিতে পারবেন, প্রতিদিন কতটুকু মাংস খাচ্ছেন।
চর্বি ও হৃদরোগের ঝুঁকি
গরুর মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা চর্বি বেশি থাকলে তা বাড়াতে পারে কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ। তাই:
-
মাংস রান্নার আগে চামড়া ও দৃশ্যমান চর্বি ফেলে দিন
-
গ্রিল বা রোস্ট করে খান, ভাজার চেয়ে
-
রান্নায় কম তেল ব্যবহার করুন
-
সবজির পরিমাণ বাড়ান, মাংস কমান
গর্ভাবস্থায় কীভাবে খাবেন?
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য আরও কিছু সতর্কতা জরুরি:
-
কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস নয়, ভালোভাবে রান্না করা মাংস খান
-
সসেজ, কোল্ড মিট, বেকন—এসব এড়িয়ে চলুন
-
কলিজা ও কলিজা দিয়ে তৈরি খাবারে ভিটামিন A বেশি থাকে, তাই কম খেতে হবে
গরুর মাংস খেতে অবশ্যই পারেন, কিন্তু তা হতে হবে পরিমিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে রান্না করা। মনে রাখবেন, পাতে যতই লোভনীয় খাবার থাকুক না কেন, স্বাস্থ্যই সবার আগে।
সূত্র: এনএইচএস, এবিপি লাইভ.