
ঈদ মানেই পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ, আর এই আনন্দের অন্যতম অংশ হলো সুস্বাদু খাবারদাবার। তবে ‘এক দিন বেশি খেলে কিছু হয় না’—এমন বেখেয়ালি মানসিকতা আমাদের শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যা উৎসবের আনন্দ ম্লান করে দিতে পারে। তাই সুস্থ ও সচেতন ঈদ উদযাপনের জন্য বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন খাবারদাবার বিষয়ে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
১. ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কড়া সতর্কতা: মিষ্টিজাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলুন।
২. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে ভুগছেন যাঁরা: গরু বা খাসির মাংস পরিমাণে কম খান। প্রতিদিন একবেলায় মাত্র দুই পিস খাওয়াই যথেষ্ট। রান্নার আগে সাদা চর্বি ফেলে দিয়ে, ঝোল বাদ দিয়ে চর্বিহীন মাংস গ্রহণ করা ভালো।
৩. কিডনি রোগীদের জন্য পরামর্শ: গরু-খাসির মাংস একেবারেই না খাওয়াই উত্তম। খুব অল্প পরিমাণে মুরগির মাংস খেতে পারেন।
৪. সয়াবিন তেল নয়, সূর্যমুখীর তেল: রান্নায় সয়াবিন তেলের পরিবর্তে ব্যবহার করুন সূর্যমুখীর তেল। মাংস রান্নায় তেল কমিয়ে টকদই বা সিরকা ব্যবহার করতে পারেন, যা খাবারকে হালকা রাখে।
৫. রাতের খাবারে মাংস নয়: মাংসভিত্তিক পদগুলো শুধু সকালের বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে রাখুন, রাতে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
৬. সবজির সঙ্গে রান্না করুন মাংস: রান্নার সময় টমেটোর মতো পটাশিয়ামসমৃদ্ধ সবজি যোগ করুন এবং খাওয়ার সময় এক টুকরো লেবু নিন। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ঈদের আনন্দ সুস্থতার মাঝেই যেন থাকে—সেজন্য সতর্ক থাকা জরুরি। মাপজোক করে খাওয়া আর সামান্য সচেতনতাই পারে উৎসবকে করে তুলতে আরও সুন্দর, আরও নিরাপদ।