ঢাকা   শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ঘরোয়া ৬ পানীয়

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ঘরোয়া ৬ পানীয়

রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকম অস্বস্তি দেখা দেয়—বিশেষ করে জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা বা চলাচলে অসুবিধা। এটি নিয়ন্ত্রণে না আনলে ভবিষ্যতে গেঁটে বাতের মতো সমস্যাও হতে পারে। সাধারণত শরীর নিজেই ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। তবে কখনো কখনো বেশি পরিমাণে অ্যাসিড তৈরি হলে বা নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হলে শরীরে তা জমা হয়। চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু সহজ ঘরোয়া পানীয় নিয়মিত খেলে এই সমস্যা কমাতে পারেন সহজেই।

নিচে এমনই ছয়টি পানীয় তুলে ধরা হলো, যা প্রাকৃতিকভাবেই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে—

১. লেবু–পানি
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে থাকা ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিড ভেঙে শরীর থেকে সহজে বের করে দিতে সাহায্য করে।

২. হলুদ–দুধ
হলুদের কারকিউমিন নামের উপাদান প্রদাহ কমিয়ে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে ধীরে ধীরে উপকার মিলবে।

৩. শসার রস
শসার প্রায় ৯০ শতাংশই পানি। এটি শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখার পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিডও কমায়। এতে পিউরিন কম থাকায় অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকিও কম থাকে।

৪. তরমুজের রস
তরমুজও পিউরিনবিহীন ও পানিতে পরিপূর্ণ একটি ফল। এটি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে দারুণ সহায়ক।

৫. আদা–চা
আদায় থাকা প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক উপাদান জয়েন্টের ব্যথা কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আদা সেদ্ধ পানিতে মধু মিশিয়ে চা বানিয়ে পান করুন প্রতিদিন।

৬. গ্রিন টি
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড সহজে বের করে দিতে সাহায্য করে।

এই ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনলেই ইউরিক অ্যাসিডজনিত সমস্যায় মিলতে পারে স্বস্তি। অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।