
এবার ঈদুল আজহায় দেশে মোট ৯১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি গবাদি পশু কোরবানি করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ লাখ কম। ২০২৩ সালে কোরবানির পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪ লাখেরও বেশি। এবার পশু উৎপাদন বেশি হওয়ায় ৩৩ লাখের বেশি পশু অবিক্রীত থেকে গেছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এবারের কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ও মহিষ ছিল প্রায় ৪৭ লাখ, ছাগল ও ভেড়া প্রায় ৪৪ লাখ এবং অন্যান্য প্রাণী ছিল মাত্র ৯৬০টি। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এই হিসাব করা হয়।
অধিদপ্তর জানায়, পশু অবিক্রীত থাকা অস্বাভাবিক নয়, বরং এই পশুগুলো পরবর্তী সময় বিয়ে, আকিকা, ওয়াজ-মাহফিলসহ বিভিন্ন সামাজিক-ধর্মীয় আয়োজনে ব্যবহৃত হবে।
বিভাগভিত্তিক কোরবানির সংখ্যায় দেখা গেছে, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২৩ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। এরপর রয়েছে ঢাকা বিভাগ (২১.৮৫ লাখ), চট্টগ্রাম (১৭.৫৩ লাখ), রংপুর (৯.৬৫ লাখ), খুলনা (৮.০৪ লাখ) ও বরিশাল (৪ লাখ)। অন্যদিকে সবচেয়ে কম কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে—মাত্র ৩.১৯ লাখ, আর ময়মনসিংহে কোরবানি হয়েছে ৩.৮৩ লাখ পশু।
গত বছর যেখানে সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছিল ঢাকায়, এবার সেই অবস্থান দখল করেছে রাজশাহী। আর পশু কোরবানির হার কমার পেছনে অর্থনৈতিক চাপ, পশুর অতিরিক্ত সরবরাহ এবং চাহিদার পরিবর্তনকে কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।