
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঔষধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও কর অব্যাহতির উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি (বিএপিআই)। সমিতির মতে, এ সুবিধা দেশের এপিআই (API) শিল্পকে আরও শক্তিশালী ও আত্মনির্ভরশীল করতে সহায়ক হবে, বিশেষত উচ্চমূল্যের ক্যান্সার প্রতিরোধী ওষুধ উৎপাদনে।
বুধবার (৪ জুন) বিএপিআই-এর সিইও মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের নীতিগত সহায়তায় দেশেই উচ্চমানের ঔষধ উৎপাদন বাড়বে, মূল্য স্থিতিশীল থাকবে এবং জনগণের জন্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে।
তবে সংগঠনটি উল্লেখ করেছে, ঔষধ শিল্পে ব্যবহৃত স্যান্ডউইচ প্যানেল ও ল্যাব ফার্নিচারে বর্তমানে উচ্চ শুল্ক আরোপিত রয়েছে, যা পূর্বে মাত্র ১ শতাংশ ছিল। এই শুল্ক হার পুনরায় কমানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএপিআই আরও জানিয়েছে, হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক অ্যাম্বুলেন্সে ভ্যাট অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য সেবায় বড় ভূমিকা রাখবে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে নন-লিস্টেড ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭.৫ শতাংশ করায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তাদের মতে, অধিক ব্যয় ও কম মুনাফার এই সময়টিতে কর হার বৃদ্ধি কোম্পানিগুলোর উপর অযৌক্তিক চাপ তৈরি করবে। একই সঙ্গে ন্যূনতম করপোরেট ট্যাক্স ০.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করাও মূলধনের ওপর চাপ ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সমিতি।
বিএপিআই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাজেটের ভালো উদ্যোগগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে এবং বিভিন্ন কর-নীতিগত বিষয়ে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে।