ঢাকা   রোববার ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে ১৫ নম্বর পেতে যা পড়বেন

চাকরি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৬:০১, ৭ জুন ২০২৫

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে ১৫ নম্বর পেতে যা পড়বেন

আসন্ন আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরীক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ থেকে একটি প্রশ্ন আসে, যার মান ১৫ নম্বর। তুলনামূলকভাবে সহজ ও সংক্ষিপ্ত এই আইনটি ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে পুরো ১৫ নম্বর পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

প্রস্তুতির জন্য ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি জানান, সাধারণত ৮ ও ৯ ধারার মতো কিছু ধারা থেকে সমস্যামূলক প্রশ্ন আসে। যেমন, কীভাবে স্থাবর সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধার করা যায়, কিংবা ৮ ও ৯ ধারার পার্থক্য ইত্যাদি। প্রতিটি ধারা, তার ব্যাখ্যা, ব্যতিক্রম ও প্রাসঙ্গিক উদাহরণসহ পড়ে রাখতে হবে।

ধারা ১২, ২১, ২১ক, ২২ থেকে ২৮ পর্যন্ত থেকেও প্রশ্ন আসে, বিশেষত সরল প্রশ্ন বা মুসাবিদা আকারে। বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সমস্যামূলক, রচনামূলক ও শর্ট নোট—সব ধরনের প্রশ্নই এসেছে। সেই সঙ্গে দলিল বাতিল বা সংশোধনের মামলার বিষয়গুলো আয়ত্তে রাখতে হবে, যা মূলত ধারা ৩১–৩৯ থেকে পড়তে হবে।

পরীক্ষায় মুসাবিদার সম্ভাবনা থাকায় একটি প্রস্তুত ফরমেট বারবার অনুশীলন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, পৈতৃক সম্পত্তির স্বত্ব ও দখল নিয়ে মামলা করতে হলে ৮ ও ৪২ ধারার আলোকে স্বত্ব সাব্যস্ত ও খাস দখলের আরজি করতে হবে। সেই আরজিতে দখলের ইতিহাস, সম্পত্তির তফসিল, করণীয়, তায়দাদ মূল্য, আদালত ফি ও সত্যপাঠ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।

পরীক্ষায় নম্বর বণ্টন অনুযায়ী লেখার কৌশল আয়ত্ত করাও জরুরি। প্রশ্ন যত বড়, উত্তর তত বিশ্লেষণধর্মী হতে হবে—তবে অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা নয়, বরং ধারাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ও উদাহরণই কাঙ্ক্ষিত নম্বর এনে দিতে পারে।

সুতরাং, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন অংশে ভালো করতে চাইলে নির্ধারিত ধারাগুলো ভালোভাবে বুঝে, নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে এবং সঠিক মুসাবিদা প্রস্তুতির মাধ্যমে প্রস্তুত হতে হবে।