
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য এসেছে স্বস্তির খবর। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এসব শিক্ষককে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে তাঁদের জন্য চালু হচ্ছে স্বাস্থ্যবীমা সুবিধাও।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের জানান, পেনশনের আওতায় আসা শিক্ষকদের জন্য দুটি মূল সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রথমত, শিক্ষক অবসরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ৩০ শতাংশ টাকা এককালীন পাবেন। দ্বিতীয়ত, অবসরের পর মাসিকভাবে পেনশন পাবেন, যা কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষকরা ১০ শতাংশ হারে অবদান রাখেন, তবে এটিকে যথেষ্ট মনে করছে না মন্ত্রণালয়। তাই শিক্ষকরা যাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারেন, সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাঁদের চাকরি জীবনে কমপক্ষে ১০ বছর বাকি আছে, তাঁরাও এই সুবিধার আওতায় আসতে পারবেন।
সচিব আরও জানান, একজন শিক্ষক অবসরের পর যদি অন্তত ১৫ বছর পেনশন পান, তাহলে মোট প্রাপ্ত অর্থ যেন বর্তমান ব্যবস্থার তুলনায় কোনোভাবেই কম না হয়—এটি নিশ্চিত করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুধু পেনশন নয়, শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। সচিব বলেন, “অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে শিক্ষকদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ, অবসরের পর অনেকেই নানা রোগে ভুগে থাকেন। স্বাস্থ্যবীমা তাঁদের সেই দুর্দিনে সহায়তা করবে।”
সব মিলিয়ে, বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য এই উদ্যোগ তাদের অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।