
খবরে বলা হয়েছে, মাহিন্দ্রা বাংলাদেশ গত ১৪ মার্চ অংশীদারদের সঙ্গে শেষবারের মতো সাধারণ সভা আহ্বান করেছিল। সভায় স্বেচ্ছায় ও চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে মার্চের ১৪ তারিখ থেকেই মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের অস্তিত্ব কার্যকরভাবে বিলীন হয়ে গেছে।
বিবৃতি জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের আয় পুরোপুরি শূন্য ছিল। উল্লেখিত তারিখে এমবিপিএলের নেট আর্থিক মূল্য ছিল ৩ কোটি ১৮ লাখ রুপি (৪ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা প্রায়), যা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার সর্বমোট মূল্যের মাত্র ০.০১ শতাংশ।
এমবিপিএলের অংশীদাররা ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এক সভায় ইউনিটটি বন্ধ করা এবং বন্ধের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিলেন। এরপর থেকে মাহিন্দ্রার বাংলাদেশ ইউনিট আর কোনো ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করেনি।
ভারতীয় গাড়িনির্মাতা মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা ২০১৯ সালে তার বাংলাদেশ ইউনিট চালু করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল সবধরনের যাত্রী, পরিবহন ও ইউটিলিটি যানবাহন বিতরণ, গবেষণা ও উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা।
মাহিন্দ্রা বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছে মাহিন্দ্রা। ব্যবহারকারী ও অংশীদার মিলিয়ে এ দেশে ৫০ হাজার মানুষ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক গাড়ি ও ট্র্যাক্টর সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে মাহিন্দ্রা। গাড়ি-ট্র্যাক্টরের পাশাপাশি বাংলাদেশে জেনারেটর, নির্মাণ সরঞ্জাম, কৃষি-ব্যবসা, তথ্য-প্রযুক্তি এবং সোলার প্যানেলেরও ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠানটির।
শেয়ার বিজনেস24.কম