
রাজবাড়ী শহরের পাবলিক হেলথ মোড়ে একটি দোকানের বারান্দা থেকে রুবেল সরদার (৪০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য ও রহস্য। আজ বুধবার সকালে জামান স্টোর নামের একটি দোকানের সামনে তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত রুবেল সরদার রাজবাড়ী শহরের দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ তিনি ডাকাতির প্রস্তুতির এক মামলায় জামিনে ছিলেন।
রুবেলের পরিবারের দাবি, এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাঁর শরীরে ধুলাবালির চিহ্ন ও অবস্থান দেখে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। রুবেলের ছোট ভাই জুয়েল সরদার বলেন, “আমার ভাইকে হয়তো হত্যা করে বারান্দায় ফেলে রাখা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
রুবেলের স্ত্রী বন্যা জানান, মৃত্যুর আগের সন্ধ্যায় রুবেল তাঁদের মেয়েকে নিয়ে বাজারে গিয়ে খাবার কিনে দিয়ে যান। “তাঁর আগে স্ট্রোক হয়েছিল, তবে আজ কী হয়েছে বুঝতে পারছি না,” বলেন তিনি।
এদিকে দোকানের মালিক শাহিদুজ্জামান জানান, ঝড়ের কারণে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে দোকান বন্ধ করে চলে যান। সকালে দোকানের সামনে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেই তিনি পুলিশে খবর দেন।
ঘটনার বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান জানান, “প্রাথমিকভাবে এটি অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে, এবং যদি হত্যার প্রমাণ মেলে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রহস্যে ঘেরা এই মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এখন সবার দৃষ্টি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে, যা উদঘাটন করবে—রুবেলের মৃত্যু স্বাভাবিক, না কি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো ভয়াবহ ষড়যন্ত্র।