ঢাকা   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যতালিকায় চাই যত্ন, সচেতনতা ও ভারসাম্য

নারী ও নারী উদ্যোক্তা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:০৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যতালিকায় চাই যত্ন, সচেতনতা ও ভারসাম্য

জীবনের পঞ্চাশ পার হলে নারীর জীবনে আসে অনেক পরিবর্তন—শরীরের মতোই বদলায় চাহিদা, রুটিন এবং খাবারের ধরন। অনেকে মনে করেন, এই বয়সে খাদ্যাভ্যাসে তেমন গুরুত্ব না দিলেও চলে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে, বরং এই বয়সেই প্রয়োজন আরও যত্ন, আরও পুষ্টি। হাড় ক্ষয়, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে চাই সচেতন খাদ্যতালিকা।

এই বয়সে নারীদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতির সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই দৈনিক অন্তত এক গ্লাস দুধ, দই বা কাঁটাসহ ছোট মাছ রাখা জরুরি। পালংশাক, ব্রকলি ও কাঠবাদাম থেকেও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তবে ক্যালসিয়াম ঠিকভাবে শোষিত হতে হলে চাই ভিটামিন ডি—যার অন্যতম উৎস রোদ। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট রোদে থাকার অভ্যাস গড়ে তোলাই ভালো।

এ সময় বাড়তি লবণ একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। টেস্টিং সল্ট, সস, চানাচুর, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ইত্যাদি খাবারে থাকে অতিরিক্ত সোডিয়াম, যা রক্তচাপ বাড়ায়। পাশাপাশি চিনি, মধু বা গুড় কম খেতে হবে। কমাতে হবে ভাত, রুটি, আলু ও শর্করাজাতীয় খাবার, যাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

মেনোপজের পর শরীরের তাপমাত্রা আচমকা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এ সমস্যা কমাতে খাবার তালিকায় রাখতে হবে পানি ও পানিসমৃদ্ধ খাবার। যেমন: ডাবের পানি, শসা, তরমুজ, পাকা বেল, পেঁপে, পটোল, লাউ ও ঝিঙে। এসব খাবার শরীর ঠান্ডা রাখে এবং প্রস্রাবে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমায়।

এছাড়া আঁশসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এই বয়সে অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে শাকসবজি, ফল, খোসাসহ শস্যজাত খাবার ও বাদাম। এগুলো হজমে সহায়তা করে, রক্তে খারাপ চর্বির পরিমাণ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

সব মিলিয়ে, পঞ্চাশ পেরোনো নারীর জীবনে সুস্থতা ধরে রাখতে হলে পরিবার ও নিজের পক্ষ থেকেই চাই সচেতনতা ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসের চর্চা।