
অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালক আজগর আলীকে নির্মমভাবে হত্যা করার দায়ে বগুড়ার একটি আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর একজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। বুধবার (আজ) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আবু হানিফ আলোচিত এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া এলাকার আবদুল হান্নান ও রাশেদ খান। এ ছাড়া দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরুন্নবী মুন্নাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তিনজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবদুল বাছেদ রায়কে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করে জানান, "আসামিদের আইন অনুযায়ী উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে।"
ঘটনার শুরু ২০২০ সালের ২১ মার্চ, যখন নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার বাসিন্দা আজগর আলী অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। এক সপ্তাহ পর শহরতলির বড় কুমিড়ার একটি কবরস্থান থেকে উদ্ধার হয় তাঁর অর্ধগলিত লাশ। তদন্তে উঠে আসে মাদক সেবনের পর টাকা ও অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁকে বাশবাগানে নিয়ে গিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে আসামিরা। পরে লাশ ফেলে রেখে অটোরিকশা ও মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যান তারা।
আজগরের ফোনের সূত্র ধরে ধরা পড়ে হান্নান ও রাশেদ, পরে তাঁদের জবানবন্দিতে ধরা পড়ে অটোরিকশা বিক্রির মাধ্যমে জড়িত নুরুন্নবী মুন্নাও।
এই রায় কেবল একটি হত্যার বিচার নয়, বরং মাদক ও লোভের কারণে মানুষের জীবনে যে ভয়ানক পরিণতি আসতে পারে, তারও একটি প্রতীকী উদাহরণ হয়ে থাকল।