ঢাকা   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

সীমার অতিরিক্তি ঋণ দিয়েছে শেয়ারবাজারের ১২ ব্যাংক

শেয়ারবাজার

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:০৪, ১২ মার্চ ২০২৫

সীমার অতিরিক্তি ঋণ দিয়েছে শেয়ারবাজারের ১২ ব্যাংক

আমানতের বিপরীতে ব্যাংকগুলো কত টাকা ঋণ দিতে পারবে তার একটি সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে সেই সীমা লঙ্ঘন করে গত ডিসেম্বরে রেকর্ড ১৬টি ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে। যেগুলোর মধ্যে শেয়ারবাজারের রয়েছে ১২টি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) বা ঋণ-আমানত অনুপাত সীমা ৮৭ টাকা এবং ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলো ৯২ টাকা।

অর্থাৎ প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে ৮৭ টাকা ঋণ দিতে পারবে। আর ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলো ৯২ টাকা পর্যন্ত ঋণ বা বিনিয়োগ করতে পারে।

এই সুবিধা পাওয়ার পরও ১২টি ব্যাংকের এডিআর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করেছে। যেগুলো হলো- এবি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।

তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এডিআর সীমা লঙ্ঘন করে ঋণ বিতরণ করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক ১১৩.৫৬ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘন করে বেসরকারি এবি ব্যাংক ৯৮.৫৪ শতাংশ। এ ছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের ৯১.৩৪ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ৯১.৩৯ শতাংশ, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮৭.৩৭ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে।

ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এডিআর সীমা লঙ্ঘন করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক ১২৮.৫৩ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১১৫.৬৩ শতাংশ। এ ছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংকের এডিআর ১১৫.৬৩ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের ১১০.৬৮ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১০৬.৭১ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ৯৩.৩৭ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৯৫.১৪ শতাংশ এবং এবি ব্যাংকের ইসলামী শাখার ১১২.৩১ শতাংশ।

ব্যাংকাররা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এডিআরসীমা নিঃসন্দেহে অনেক হিসাবনিকাশ করে দিয়েছে এবং তা যথেষ্ট বৈশ্বিক মানের। সেই সীমা অতিক্রম করা ঠিক নয়। এতে ব্যাংক খাতে ঝুঁকি তৈরি করবে। বিশেষ করে আমানতকারীরা বেশি ঝুঁকিতে পড়বেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।

শেয়ার বিজনেস24.কম