শেয়ার কারসাজি, প্লেসমেন্ট শেয়ার দুর্নীতি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগের মুখে পড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তার পরিবার। এ বিষয়ে তদন্ত চলাকালীন আদালতের নির্দেশে তাদের নামে থাকা ৯৪টি কোম্পানির শেয়ার এবং ১০৭টি বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ বিষয়ে আদালতে আবেদন করলে, তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সালমান এফ রহমান, তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে—তারা প্লেসমেন্ট শেয়ারের মাধ্যমে জালিয়াতি করে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই সঙ্গে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে।
দুদক আরও জানায়, অভিযুক্তরা শেয়ার ও বিও হিসাব হস্তান্তর বা রূপান্তরের চেষ্টা করছিলেন, যা তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ভবিষ্যতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব শেয়ার ও হিসাব স্থগিত রাখা অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নজিরবিহীন আদেশ দেশের শেয়ারবাজার ও আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ফেরানোর পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
























