facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪

Walton

নড়িয়ার মেয়র আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ


২৮ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার, ১০:৩৯  এএম

নড়িয়া প্রতিনিধি

শেয়ার বিজনেস24.কম


নড়িয়ার মেয়র আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ
নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ

 

শরীয়তপুর নড়িয়া পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ড বিসমিল্লাহ নগর গ্রামে এক সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি দখলের চেষ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে নদী ভাঙ্গার কারণে আমার বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তাই আমার বাড়ি করার জন্য কিছু জমির প্রয়োজন ছিল। জহিরুল হক তুলতুল ও সুজন ঢালীর মাধ্যমে শিখা রানীর কাছ থেকে ৮ শতাংশ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেই। জমির দলিলপত্র প্রদানের পরে জমির মালিক শিখা রানীর আবেদনের সাপেক্ষে জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এ জমি সাফ কবলায় খরিদ করি। আমার এ সম্পদ কোন দখলীয় সম্পদ নয়। কিন্তু এ বাড়িতে পূর্ব আশ্রিত শান্তি রক্ষিতের মেয়েরা আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দখলের অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যাহা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক।

এ বিষয়ে জমির মালিক প্রাণ কৃষ্ণ দাসের স্ত্রী সিখারানী সাহা বলেন, শান্তি রঞ্জন রক্ষিত এ বাড়ির কেউ না,তাদেরকে বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আশ্রয় দেওয়া হয়। শান্তি রঞ্জন রক্ষিত তার স্ত্রীর মৃত্যুর পরে তা চার কন্যা সন্তানদের বিয়ে হয়ে যায়। বাড়িটি খালি পড়ে থাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২০ সালে বাড়িটি জহিরুল হক তুলতুল সুজন ঢালী ও মেয়রের সাথে বায়না হয়। এবং ২০২২ সালে জমি সাফ কবলা দলিল করে দেওয়া হয়। গত ১০ অক্টোবর বাড়ি সীমানা নির্ধারণের জন্য পৌরসভা মেয়রের কাছে লিখিত আবেদন করি। আবেদনের ভিত্তিতে ১৭ অক্টোবর ২০২২ পৌর মেয়রের নির্দেশে জমির পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর ২০ অক্টোবর সীমানার প্রাচীরের কাজ করতে গেলে আশ্রিতা শান্তি রঞ্জন রক্ষিতের মেয়ে সুফলা ও তার বোনেরা কিছু লোভী প্রকৃতির অসাধু লোকদের প্ররোচনায় পড়ে কাজে বাধা প্রদান করে। এবং মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন জমি দখলের দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চালায়।

জমি ক্রেতা জহিরুল ইসলাম তুলতুল বলেন, আমি সহ আরো দুইজন মিলে ২০২২ সালে প্রানকৃষ্ণ দাস-এর স্ত্রী শিখারানী সাহার কাছ হতে জমি সাফ কবলা দলিলমূলে মালিক হই। এবং নামজারি করে খাজনা প্রদান করি। আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য শিখারানি সাহা নড়িয়া পৌর মেয়র-এর কাছে একটি লিখিত আবেদন করি। আবেদনের ভিত্তিতে ১৭ অক্টোবর জমি মেপে আমাদের বুঝিয়ে দেয়। ২০ অক্টোবর আমরা জমিতে কাজ করতে গেলে মৃত শান্তিরঞ্জন রক্ষিত-এর মেয়েরা ও দুষ্টু প্রকৃতির কিছু লোকজন আমাদের কাজে বাধা প্রদান করে। এবং আমাদের ও মেয়র মহোদয়ের নামে দখলের মিথ্যা অপ প্রচার চালায়। এ বিষয় আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এবং আমাদের সম্পত্তি সুস্থ ও সান্তিপুর্ন আইনত ব্যাবহারের সুযোগ চাই।

এদিকে শান্তি রক্ষিত-এর মেয়ে সুফলা রক্ষিত বলেন, এটা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। আমরা চারবোন আমাদের ভাই নেই। শিখা রানী ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে আমাদের জমি নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ তুলতুল ও সুজন ঢালী গংদের কাছে বিক্রি করে দেয়।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

গ্রামবাংলা -এর সর্বশেষ