
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা চারটি আবেদনের শুনানি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও একজন মুক্তিযোদ্ধার করা এসব আবেদনের শুনানির জন্য আজ রোববার আপিল বিভাগ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
কী ঘটেছিল আজকের শুনানিতে?
আবেদনকারীদের পক্ষে সময় চেয়ে করা আরজির প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিল। কিন্তু আবেদনকারীদের সময় প্রার্থনার কারণে তা পরিবর্তিত হয়।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, "এটি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে করা একটি আবেদন। পূর্ণাঙ্গ রায় এখনও পাওয়া যায়নি।" এরপর আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ঠিক করেন।
পূর্বপটভূমি: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলুপ্তি এবং পুনর্বিবেচনার আবেদন
২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের এই রায়কে কেন্দ্র করেই বর্তমান বিতর্কের সূত্রপাত।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, এবং মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন রিভিউ আবেদন জমা দেন।
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ও চ্যালেঞ্জের মুখে
পঞ্চদশ সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনগুলোতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায় দিয়ে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে সংশোধনীটির কয়েকটি ধারা বাতিল ঘোষণা করে।
আসন্ন শুনানি নিয়ে আগ্রহ ও উত্তেজনা
৯ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের নিষ্পত্তি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুনানি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
শেয়ার বিজনেস24.কম