facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪

Walton

আলহাজ টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান অপসারণ


০৬ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার, ১২:৫৫  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


আলহাজ টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান অপসারণ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালককে অপসারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার (৫ জুন) কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান খন্দকার কামারুজ্জামান এবং দুই স্বতন্ত্র পরিচালক মো. জিকরুল হক এবং এএফএম আবদুল মঈনকে অপসারণ করেছে বিএসইসি।

আলহাজ টেক্সটাইলের বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমানের মামলার কারণে ওই তিনজনকে অপসারণ করে বিএসইসি। একই সঙ্গে পর্ষদে নতুন তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালক ও নিয়োগ করেছে। পরিচালকরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারেকুজ্জামান ও নোভারটিস বাংলাদেশের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ফাহমিদ ওয়াসিক আলী।

এছাড়াও কোম্পানির দুই পরিচালক বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের সিনিয়র ফ্যাকাল্টি মেম্বার মো. সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খান কোম্পানিতে দায়িত্ব পালন করবে। এই চার জনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারেকুজ্জামানকে পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হবে।

এর আগের গত ২২ মে কোম্পানি পর্ষদ এমডি মিজানুর রহমানকে এমডি পদ থেকে বহিষ্কার করেন। তিনি কোম্পানির দ্বিতীয়তম শেয়ারধারী শেয়ারহোল্ডারহোল্ডার পরিচালকও। মিজানুর রহমান নিজ শক্তির বলে কোম্পানি সচিবকে বহিষ্কার করে।

এরপর পর্ষদ মিজানুর রহমানের জায়গায় তার শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তার চাচাতো ভাই বখতিয়ার রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

তারপর গত ২৫ মে বহিষ্কৃত এমডি মিজানুর ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এমডির `অবৈধ` বদলির বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে এবং নতুন ব্যবস্থাপনাকে ব্যাংকিং লেনদেন চালিয়ে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে কমিশন নতুন বোর্ডকে অপসারণ করেছে।

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে কোম্পানিটি ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলো। তার আগে ২০২০ ও ২০১৯ সালে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

এদিকে চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি লোকসান করেছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা।

২২ কোটি ২৯ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯টি। এর মধ্যে ২৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।


শেয়ার বন্ধক রেখে ঋণ নিয়ে মিথুন নিটিংয়ের কাছে ব্যাখ্যা তলব

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং লিমিটেডের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা তাদের ধারণকৃত ১৩.১৮ শতাংশ শেয়ার বেসিক ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছে। পরবর্তীতে তা পরিশোধ করতে না পারায় খেলাপি হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কাছে বন্ধক রাখা শেয়ার অধিগ্রহণের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায় ব্যাংকটি।

আর কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের এমন কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন হতে পারে বলে মনে করছে বিএসইসি। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িংকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রাসঙ্গিক নথির সঙ্গে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোম্পানিটিকে একটি প্রস্থান পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে জানিয়ে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।

এর আগে, খেলাপি ঋণগ্রহীতা কোম্পানিটির ১০ শতাংশের বেশি বন্ধক শেয়ার অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক শর্ত মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানায় বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

আর ওই আবেদনের বিষয়ে উল্লেখ করে কোম্পানিকে দেওয়া চিঠিতে বিএসইসি উল্লেখ করেছে, দেখা যাচ্ছে যে পরিচালনা পর্ষদ এবং উদ্যোক্তারা ৩ জুলাই ২০১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত তাদের ধারণকৃত মোট ১৭.২০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে ১৩.১৮ শতাংশ শেয়ার বন্ধক রেখে সময় সময়ে মিথুন নিটিং এবং এর সহযোগী কোম্পানির জন্য ঋণ নিয়েছে। বর্তমানে উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে সেই শেয়ার বাজেয়াপ্ত করার জন্য ডিএসই এবং বিএসইসির কাছে আবেদন জানিয়েছে বেসিক ব্যাংক। আবেদন অনুযায়ী বাজেয়াপ্তকরণের ফলে উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের সব শেয়ার বাজারে চলে যাবে এবং পর্ষদের কাছে কোম্পানির বাকি ৪.২ শতাংশ শেয়ার থাকবে। কোম্পানির উদ্যোক্তা এবং পরিচালকদের এই ধরনের কার্যকলাপে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ১৭ (এ) লঙ্ঘন হতে পারে। ফলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ২৪ এর অধীনে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। -সূত্র : ঢাকা পোস্ট ও রাইজিংবিডি।

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: