
১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে ঢাকায় চলছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের আবাসিক ক্যাম্প। ঈদুল আজহার দিনেও দল ছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। সকালেই চাঁদ মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নেন জামাল ভূঁইয়ারা। বাফুফের দেওয়া সাদা পাঞ্জাবি পরে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে নামাজ পড়েন তিন নির্বাহী সদস্যও। নামাজ শেষে স্থানীয়দের সঙ্গে কোলাকুলি শেষে হোটেলে ফিরে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সবাই।
সকালের নাশতার সঙ্গে পরিবেশিত হয় ঈদের স্পেশাল সেমাই। দুপুরে মেন্যু সাধারণ থাকলেও রাতের খাবারে বিশেষ কিছু রাখার পরিকল্পনা ছিল। ঢাকায় বাসা থাকা খেলোয়াড়রা কিছু সময়ের জন্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও দুপুর ২টার ভেতর সবার হোটেলে ফিরে আসতে বলা হয়। ঈদের দিনেও ছিল অনুশীলনের শিডিউল—বিকেল ৫টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে অনুশীলন হয়, বৃষ্টি উপেক্ষা করেই।
এদিনের অনুশীলনের আগে চনমনে মেজাজে ছিলেন ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী। দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ জুন জিততে পারলেই হবে তাঁদের সত্যিকারের ঈদের আনন্দ। রুমেই ছিলেন শমিত সোম, তাঁর কাকা এসেছিলেন দেখা করতে। ফাহামিদুলের মা আসার কথা ছিল। আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়েছে হোটেলেই।
গত এক দশকে এটি তৃতীয়বার, যখন জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা হোটেল ক্যাম্পে থেকেই ঈদ উদযাপন করছেন। এর আগে ২০১৮ সালে জাকার্তা ও ২০২৩ সালে বেঙ্গালুরুতে ক্যাম্প চলাকালে টিম হোটেলেই কেটেছিল ঈদ।
এদিকে নারী দলের সদস্যরাও ছিলেন ঈদের আবহে। মিয়ানমারে হতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতে সদ্য জর্ডানে দুটি ম্যাচ খেলে ফিরেছেন তাঁরা। কেউ কেউ ছুটিতে বাড়ি গেলেও, অনেকে ক্যাম্পেই রয়ে গেছেন। তাঁদের জন্যও ছিল বাফুফের ঈদের উপহার।