
আইপিএলের প্রথম শিরোপা জয়ের আনন্দে যখন বিরাট কোহলির নেতৃত্বে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছিল, ঠিক তখনই স্টেডিয়ামের বাইরে ঘটছিল এক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি। পদদলিত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। এই ঘটনায় কোহলিদের উৎসব ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
বেঙ্গালুরুর রাজপথে শিরোপা উদ্যাপন করতে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো সমর্থক। আনন্দ মিছিলের রূপ নেয়া বিশৃঙ্খলায় প্রাণ হারান অনেকেই। শহরজুড়ে এই ঘটনাটি রাতারাতি শোক ও ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অথচ এই দুঃসময়ে কোহলি ও তাঁর সতীর্থরা স্টেডিয়ামের ভেতরেই পালন করছিলেন বিজয় উৎসব। সমালোচকদের প্রশ্ন—কোহলি কি জানতেন না, ঠিক বাইরে কী ঘটছে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে ভারতের সাবেক পেসার অতুল ওয়াসন দাবি করেছেন, কোহলির কাছে খবর পৌঁছায়নি বলেই তিনি উৎসব থামাননি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, কোহলি বা তাঁর দল যদি জানত বাইরে এমন ভয়াবহ কিছু ঘটছে, তাহলে তারা নিশ্চয়ই সংবর্ধনা বন্ধ করত।”
পিটিআইকে দেওয়া আরেক বক্তব্যে ওয়াসন বলেন, “যদি স্টেডিয়ামের বাইরের খবর সময়মতো কোহলির কানে পৌঁছাত, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসতেন, পরিস্থিতি বদলে যেত।” তিনি অভিযোগ করেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি, করপোরেট বা রাজনীতিবিদরা অনেক সময় এমন মানবিক বিষয় এড়িয়ে যান, কারণ তাদের অগ্রাধিকার থাকে ব্যবসায়িক স্বার্থ। “ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর চামড়া মোটা হয়ে গেছে। তারা লাভ-ক্ষতির বাইরে কিছু ভাবতে চায় না,”—যোগ করেন ওয়াসন।
বেঙ্গালুরুর এই শোকাবহ ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে—উৎসবের উন্মাদনায় দায়িত্ববোধ হারিয়ে ফেলছে না তো আধুনিক ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা? কোহলি হয়তো সত্যিই জানতেন না, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য এই ঘটনা কি বড় এক সতর্কবার্তা নয়?