ঢাকা   বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

‘যুদ্ধকালীন সহায়তার অর্থ ফেরত’: যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজচুক্তি চূড়ান্তের পথে

বিশেষ প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:২৪, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ২১:২৬, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

‘যুদ্ধকালীন সহায়তার অর্থ ফেরত’: যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজচুক্তি চূড়ান্তের পথে

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজসম্পদ উন্নয়ন চুক্তি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। তিনি বলেন, দুই দেশই চুক্তির সব খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করেছে এবং যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে ইউক্রেনের উন্নয়ন ও পুনর্গঠন কাজ শুরু হবে। এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্ণনা করেছেন ‘যুদ্ধকালীন সহায়তার অর্থ ফেরত’ হিসেবে।

চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের খনিজসম্পদ ব্যবস্থাপনায় কিয়েভ ও ওয়াশিংটন যৌথভাবে কাজ করবে এবং গঠন করা হবে ‘৫০/৫০’ অংশীদারিত্বের একটি বিনিয়োগ তহবিল। উভয় দেশ এই তহবিলে অর্থ দেবে, যা ব্যবহার হবে ইউক্রেনের পরবর্তী পুনর্গঠন প্রকল্পে। তহবিলে যুক্তরাষ্ট্র যদি নতুন সামরিক সহায়তা দেয়, সেটিও তাদের অবদান হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রাথমিকভাবে কয়েক সপ্তাহ আগেই চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কারণে আলোচনা স্থগিত হয়েছিল। তবে এখন দুই দেশ নতুন উদ্যমে আবারও চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। যদিও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, তবে মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক স্বার্থ জোরদার হলে তা রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

চুক্তিটি কেবল অর্থনৈতিক নয়, ভূরাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইউক্রেনের জন্য এটি হতে পারে যুদ্ধ-পরবর্তী স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।