ঢাকা   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: প্রিন্স

গ্রামবাংলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ১২ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ২৩:৩৫, ১২ জুলাই ২০২৫

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, তারা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এভাবে দেখতে চাননি। শক্তিশালী পুলিশিং ব্যবস্থা শান্তিপূর্ণ সমাজের জন্য একান্ত অপরিহার্য। সন্ত্রাসীরা যদি ভয় না পায়, আতঙ্কে না থাকে, তবে সন্ত্রাসী কাজের বিস্তার ঘটবে। ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক কালার না দিয়ে সন্ত্রাস হিসেবেই দেখা উচিৎ। এসবের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানবিকতা সবার মধ্যে জাগ্রত হতে হবে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে 'আলোকিত হলুয়াঘাট রুপকল্প' র্শীষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রিন্স বলেন, নৃশংসভাবে এমন হত্যাকাণ্ড কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এমন বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। ভিডিও দেখে আমি স্তম্ভিত, লজ্জিত। ব্যক্তির দায় দল নেবে না। দল সেই দায় নিতে পরে, যা দল নির্দেশ দেয়। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাস বিএনপির ডিকশনারিতে নেই।

তিনি বলেন, যারা এই জঘন্য কাজ করেছে, তারা কোনো দলের হতে পরে না। যিনি নিহত হয়েছেন, তিনিও যুবদলের কর্মী। যিনি হত্যাকারী তিনিও যুবদলের কর্মী। যুবদলের হোক বা না হোক, তিনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি সবারই থাকতে হবে। দোষী যেই হোক তার কঠোর শাস্তি হতে হবে। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও দায় আছে।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত অনৈতিক কাজের জন্য বিএনপি যাদেরকে বহিস্কার করেছে, তাদের কতজনকে আটক করা হয়েছে বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরা উদ্যোগী হয়ে সন্ত্রাসী দমনে কী কাজ করেছে? যাতে এসব দুষ্কৃতীকারীরা ভয় বা আতঙ্কে থাকবে?

প্রিন্স বলেন, যতই সংস্কার বা পুনর্গঠন হোক না কেন, মানুষের মধ্যে মানবিকতা ও সহনশীলতা জাগ্রত না হলে মানবিক রাষ্ট্র বা সমাজ গড়া সম্ভব না। মানুষের মধ্যে মনুষত্ব্যবোধ না থাকলে সে মানুষ নামের অমানুষ। অমরা যতই উন্নয়ণের কথা বলি না কেনো, একটা মানূষের মধ্যে মানবিকতা, মনুষত্ব্যবোধ, ভাতৃত্ববোধ ও মমত্ববোধ না থাকলে সেই উন্নয়ন শুধু কথামালা বা অবকাঠামোর মধ্যে থেকে যাবে। আলোকিত রাস্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণে মানুষকে মানুষ হিসেবেই গড়ে তুলতে হবে।

এসময় হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আসলাম মিয়া বাবুল, পৌর বিএনপির আহবায়ক হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, হালুয়াঘাট সাধারণ পাঠাগারের সভাপতি মজিবর রহমান, কয়লা আমদানি ও রফতানীকারক গ্রুপের মহাসচিব অশোক কুমার অপুসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।