
বাড়ছে গরম, আর সেই সঙ্গে এসির চাহিদাও। এক সময় এসি ছিল শুধুই বিলাসের প্রতীক, কিন্তু এখন এটি হয়ে উঠেছে জীবনের অপরিহার্য অংশ। তবে নতুন এসির দাম অনেক বেশি হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কেনার দিকে। রাজধানীর মিরপুর, বারিধারা কিংবা পুরোনো যন্ত্রাংশের মার্কেটগুলোতে এমন বহু দোকান রয়েছে, যেখানে পুরনো এসি মেরামত করে বিক্রি করা হয় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যেই।
কিন্তু সস্তায় ঠান্ডা পাওয়ার এই চেষ্টায় ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে কম নয়। অনেক সময় পুরোনো এসি ব্র্যান্ডেড হলেও ওয়ারেন্টি থাকে না, বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি হয়, কিংবা গ্যাস লিক, ফিল্টার সমস্যা বা কম্প্রেসরের ত্রুটির মতো বড় ঝামেলা দেখা দিতে পারে। তাই সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কেনার আগে আপনাকে হতে হবে সতর্ক এবং সচেতন। নিচে দেওয়া হলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয়—
১. ব্র্যান্ড ও কাগজপত্র যাচাই করুন: ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনুন এবং বিক্রেতার কাছ থেকে কাগজপত্র চাইতে ভুলবেন না। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে মেরামতের সুবিধা পাওয়া যাবে কি না, তা জেনে নিন।
২. ফিল্টার স্ট্যাটাস দেখুন: এসির ফিল্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব পুরোনো বা নোংরা ফিল্টারযুক্ত এসি কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি করতে পারে।
৩. গ্যাসের পরিমাণ ও অবস্থা চেক করুন: এসির গ্যাস পর্যাপ্ত আছে কি না এবং লিক হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, তা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন।
৪. ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি বেছে নিন: ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং স্মার্টভাবে কাজ করে। ঘর ঠান্ডা হলে কম্প্রেসর বন্ধ হয়ে যায়, ফলে বিলও কম আসে।
৫. স্টার রেটিং যাচাই করুন: এসির স্টার রেটিং যত বেশি, তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। এফিশিয়েন্সি বোঝার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।
৬. ঘরের আয়তন অনুযায়ী এসি নির্বাচন করুন: ছোট ঘরের জন্য বড় এসি কিনে লাভ নেই, বরং বিদ্যুৎ অপচয় হবে। আবার বড় ঘরের জন্য ছোট এসি পর্যাপ্ত ঠান্ডা দিতে পারবে না।
সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কেনা মানেই খারাপ পছন্দ নয়—শুধু একটু সচেতন হলেই আপনি কম খরচে পেতে পারেন একদম কার্যকর ও টেকসই এসি। গরমে স্বস্তি আনতে ঝুঁকিনির্ভর নয়, তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্তই হোক আপনার সঙ্গী।